মহৎ অতি, ক্ষমা গুণটি,
ব্যবহারে কৃপণতা শুধু।
যুদ্ধে “ক্ষমা” হারিয়া গিয়াছে,
“শাস্তি”র কাছে প্রভু।
করোনি তুমি, ক্ষমা যে আমার,
পূর্ব-পুরুষেরে,
চিহ্ন তাহার, বহন করিয়া,
জন্মিয়াছি মাতৃক্রোড়ে।
প্রকৃতি আমায়, দিয়াছে শাস্তি,
নষ্ট করার পাপে,
ক্ষমা ভুলিয়া, আঘাত করিতেছে,
উন্মত্ত বিধবংসী রূপে।
শোষকের দ্বারা, শোষনের স্বীকার,
আমার মতো শোষিতেরা,
প্রতিবাদ করিলে, শাস্তির খর্গ,
নামিয়া আসে যে খাড়া।
ধর্মের জন্য, মানুষ নহে,
মানুষের জন্য ধর্ম হবে,
বুঝিয়াও তাহা, ধর্মের নামে,
যুদ্ধ চলিতেছে ভবে।
ক্ষমার বাণী, নিভৃতে কাঁদে,
ইহজগতে শান্তি নাই।
পরজগতেও, শাস্তির বিধান,
পাপ-পূণ্যের হিসেবে পাই।
ক্ষমো প্রভু মোর, পাপ-তাপ সব,
স্বর্গে দিও ঠাঁই।
শাস্তির ভারে, ক্লান্ত যে আমি,
নরক নাহি চাই।
প্রকাশকালঃ ২৯ জুন ২০১২
No comments:
Post a Comment
Thank you for your time. I will get back to you soon.
Nathan