বিভিন্ন পত্রিকা মারফত অবগত হলাম যে, সরকার দাবি করেছে, গত চার বছরে দেশের
পুষ্টি-পরিস্থিতির কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে পুষ্টিবৈষম্য বেড়েছে। খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোতে ক্ষুধা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মো. মহসীন আলী বলেন, বাংলাদেশে যত শিশু মারা যায়, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণার একটিই উপসংহার, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি একটি বড় সমস্যা
একটি শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তার দেহের পুষ্টি আসে মায়ের বুকের দুধ থেকে। শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রসুতি মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। ৫/৬ মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর শক্ত খাবার দিতে হয়। রঙিন সবজি, ভাত, রুটি, সুজি, ফল-মূল এবং মাছ বা মুরগি। আর একটু বড় হলে ডিম।
মোটা দাগে ভাগ করলে বাংলাদেশের মানুষকে প্রধানত দুটি দলে ভাগ করা যায়।
একদিকে, একদল মানুষ, নুন দিয়ে ভাত খেয়েই জীবন পার করে দিচ্ছে… এতে শিশু বা মা কারোরই পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।
অপরদিকে, আরেকটি দল ফাষ্ট ফুড, চকলেট, কোক, ভাজা-পোড়া, জুস কিংবা বিস্কুট খেয়েই দিন পার করছে… তাদেরও কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে দুটো দলই অপুষ্টিতে ভোগা ভবিষ্যত প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে।
ইহাই উদ্বিগ্ন হবার জন্য যথেষ্ট।
আমি উদ্বিগ্ন আরও একটি কারণে…
যখনই কোন সমস্যা জাতির সামনে তুলে ধরা হয় তখনি একধরণের ব্যবসায়িক সুযোগ নিজ উদ্যোগে তৈরী হয়। আবার ইহাও শোনা যায় গবেষণার মাধ্যমে কোন একটি সমস্যা কে জাতির সামনে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উপস্থাপন করার পিছনে ব্যবসায়ীদেরও একটি পরোক্ষ ইন্ধন থাকে। কারণ সমস্যা সমাধানের মহৌষধ যে তাদেরই হাতে।
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বর্তমান সরকারের আমলে বিগত তিন বছরে জিডিপি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় আয় বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ৮৪৮ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।”
তথ্যের সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও… ইহা সহজে অনুমেয়… যে দেশের দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ সে দেশের মানুষের একটি বড় অংশ অপুষ্টিতে ভোগা অসম্ভব কিছু নয়।
তবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা আমি অস্বীকার করছি না।
সমস্যাটা তো বোঝা গেল…? কিন্তু এরপর কি…? সমাধানের উপায় কি…?
পরিমিত এবং সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
পৃথিবীর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর ৮০ শতাংশ রয়েছে মাত্র ২০টি দেশে, সেসব দেশে জোরালো পুষ্টি প্রকল্প গ্রহণ করলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বেশ কমানো সম্ভব।
পুষ্টি কার্যক্রমে চার ধরনের সুযোগ মানুষের জন্য সৃষ্টি করা উচিত—তত্ত্বাবধান, অর্থনৈতিক সম্পদ আহরণ ও সংগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ে সরাসরি পুষ্টি জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা, মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদকে শক্তিশালী করে তোলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খুরশীদ জাহান একটি পত্রিকার মাধ্যমে বলেছেন, পুষ্টিজ্ঞান থাকা জরুরি। তবে মূল বিষয় হলো, পুষ্টিকর খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা আছে কি না, মানুষের পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে কি না। এ ছাড়া শিশুরা টিকা পাচ্ছে কি না, পরিবেশ যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি না, রান্না করার পদ্ধতি কী ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও পুষ্টি-পরিস্থিতি নির্ভর করে।
বর্তমানে দেশে অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দাতা সংস্থাগুলো অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা তাদের ব্যবস্থাপত্রে যে মহৌষধ ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তার বেশীরভাগই বিদেশকেন্দ্রিক।
এর মধ্যে কিছু মহৌষধ হলো…
“পুষ্টি প্যাকেট বা স্প্রিংকেল”, এই প্যাকেটের ভিতরে পাউডার জাতীয় একধরণের মহৌষধ বিদ্যমান…যা সেবনে অপুষ্টি দূর হবে বলে অনেক দাতা সংস্থা মনে করেন।
অপুষ্টি দূরীকরণের আরও একটি মহৌষধ হল “পুষ্টি বিস্কুট”… এই বিস্কুটের পুষ্টি উপাদান বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। এই বিস্কুট চর্বণে অপুষ্টি দূর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
“পূষ্টি আটা”…এই মহৌষধটি দেখতে অনেকটা দেশিয় আটার মতো, কিন্তু দানাদার, এর পুষ্টি উপাদানও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত..।
এছাড়াও রয়েছে… “পুষ্টি বার” নামক আরও একটি মহৌষধ… যাহা দেখিতে অনেকটা চকলেট বারের মতো… এই পুষ্টি বার গুলোও বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে…
এই প্রত্যেকটি মহৌষধ বা এর পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করে থাকে… বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে…
দেশের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এম কিউ কে তালুকদার ২৩ জুন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানান, দাতা সংস্থাগুলো এখন পরামর্শ দিচ্ছে নতুন আরও একটি মহৌষধের, যার নাম “রেডি টু মেক থেরাপিউটিক ফুড”। এই পথ্যটিও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। দাতা সংস্থাগুলো ভারতেও অপুষ্টি দূরীকরনের লক্ষ্যে এই মহৌষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু ভারত তীব্রভাবে এতে বাধা দেয়।
বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বিদেশী মহৌষধের পাশাপাশি দেশিয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপুষ্টি দূর করার জন্য দেশি দানাদার শস্য, সবজি, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়িই নাকি যথেষ্ট।
এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেন, দাতা সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে খাবার কিনে দেশের অপুষ্টি সমস্যা সমাধানের যে কথা বলছে, তা যুক্তিযুক্ত নয়। তাঁর মতে, দেশীয় পদ্ধতিতে এর সমাধান খোঁজা উচিত।
কিন্তু খিচুড়ি বা দেশিয় উপাদানে তৈরী মহৌষধের ব্যাপারে অপুষ্টি দূরীকরণ কার্যক্রমে জড়িত দেশি-বিদেশি বেশীরভাগ সংস্থারই তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না… পাছে অপুষ্টিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুষ্টিকর ব্যবসা অপুষ্টির স্বীকার হয়।
http://blog.bdnews24.com/rananathan/105900
অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে পুষ্টিবৈষম্য বেড়েছে। খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোতে ক্ষুধা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মো. মহসীন আলী বলেন, বাংলাদেশে যত শিশু মারা যায়, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণার একটিই উপসংহার, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি একটি বড় সমস্যা
একটি শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তার দেহের পুষ্টি আসে মায়ের বুকের দুধ থেকে। শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রসুতি মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। ৫/৬ মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর শক্ত খাবার দিতে হয়। রঙিন সবজি, ভাত, রুটি, সুজি, ফল-মূল এবং মাছ বা মুরগি। আর একটু বড় হলে ডিম।
মোটা দাগে ভাগ করলে বাংলাদেশের মানুষকে প্রধানত দুটি দলে ভাগ করা যায়।
একদিকে, একদল মানুষ, নুন দিয়ে ভাত খেয়েই জীবন পার করে দিচ্ছে… এতে শিশু বা মা কারোরই পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।
অপরদিকে, আরেকটি দল ফাষ্ট ফুড, চকলেট, কোক, ভাজা-পোড়া, জুস কিংবা বিস্কুট খেয়েই দিন পার করছে… তাদেরও কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে দুটো দলই অপুষ্টিতে ভোগা ভবিষ্যত প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে।
ইহাই উদ্বিগ্ন হবার জন্য যথেষ্ট।
আমি উদ্বিগ্ন আরও একটি কারণে…
যখনই কোন সমস্যা জাতির সামনে তুলে ধরা হয় তখনি একধরণের ব্যবসায়িক সুযোগ নিজ উদ্যোগে তৈরী হয়। আবার ইহাও শোনা যায় গবেষণার মাধ্যমে কোন একটি সমস্যা কে জাতির সামনে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উপস্থাপন করার পিছনে ব্যবসায়ীদেরও একটি পরোক্ষ ইন্ধন থাকে। কারণ সমস্যা সমাধানের মহৌষধ যে তাদেরই হাতে।
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বর্তমান সরকারের আমলে বিগত তিন বছরে জিডিপি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় আয় বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ৮৪৮ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।”
তথ্যের সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও… ইহা সহজে অনুমেয়… যে দেশের দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ সে দেশের মানুষের একটি বড় অংশ অপুষ্টিতে ভোগা অসম্ভব কিছু নয়।
তবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা আমি অস্বীকার করছি না।
সমস্যাটা তো বোঝা গেল…? কিন্তু এরপর কি…? সমাধানের উপায় কি…?
পরিমিত এবং সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
পৃথিবীর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর ৮০ শতাংশ রয়েছে মাত্র ২০টি দেশে, সেসব দেশে জোরালো পুষ্টি প্রকল্প গ্রহণ করলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বেশ কমানো সম্ভব।
পুষ্টি কার্যক্রমে চার ধরনের সুযোগ মানুষের জন্য সৃষ্টি করা উচিত—তত্ত্বাবধান, অর্থনৈতিক সম্পদ আহরণ ও সংগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ে সরাসরি পুষ্টি জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা, মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদকে শক্তিশালী করে তোলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খুরশীদ জাহান একটি পত্রিকার মাধ্যমে বলেছেন, পুষ্টিজ্ঞান থাকা জরুরি। তবে মূল বিষয় হলো, পুষ্টিকর খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা আছে কি না, মানুষের পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে কি না। এ ছাড়া শিশুরা টিকা পাচ্ছে কি না, পরিবেশ যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি না, রান্না করার পদ্ধতি কী ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও পুষ্টি-পরিস্থিতি নির্ভর করে।
বর্তমানে দেশে অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দাতা সংস্থাগুলো অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা তাদের ব্যবস্থাপত্রে যে মহৌষধ ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তার বেশীরভাগই বিদেশকেন্দ্রিক।
এর মধ্যে কিছু মহৌষধ হলো…
“পুষ্টি প্যাকেট বা স্প্রিংকেল”, এই প্যাকেটের ভিতরে পাউডার জাতীয় একধরণের মহৌষধ বিদ্যমান…যা সেবনে অপুষ্টি দূর হবে বলে অনেক দাতা সংস্থা মনে করেন।
অপুষ্টি দূরীকরণের আরও একটি মহৌষধ হল “পুষ্টি বিস্কুট”… এই বিস্কুটের পুষ্টি উপাদান বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। এই বিস্কুট চর্বণে অপুষ্টি দূর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
“পূষ্টি আটা”…এই মহৌষধটি দেখতে অনেকটা দেশিয় আটার মতো, কিন্তু দানাদার, এর পুষ্টি উপাদানও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত..।
এছাড়াও রয়েছে… “পুষ্টি বার” নামক আরও একটি মহৌষধ… যাহা দেখিতে অনেকটা চকলেট বারের মতো… এই পুষ্টি বার গুলোও বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে…
এই প্রত্যেকটি মহৌষধ বা এর পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করে থাকে… বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে…
দেশের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এম কিউ কে তালুকদার ২৩ জুন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানান, দাতা সংস্থাগুলো এখন পরামর্শ দিচ্ছে নতুন আরও একটি মহৌষধের, যার নাম “রেডি টু মেক থেরাপিউটিক ফুড”। এই পথ্যটিও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। দাতা সংস্থাগুলো ভারতেও অপুষ্টি দূরীকরনের লক্ষ্যে এই মহৌষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু ভারত তীব্রভাবে এতে বাধা দেয়।
বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বিদেশী মহৌষধের পাশাপাশি দেশিয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপুষ্টি দূর করার জন্য দেশি দানাদার শস্য, সবজি, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়িই নাকি যথেষ্ট।
এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেন, দাতা সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে খাবার কিনে দেশের অপুষ্টি সমস্যা সমাধানের যে কথা বলছে, তা যুক্তিযুক্ত নয়। তাঁর মতে, দেশীয় পদ্ধতিতে এর সমাধান খোঁজা উচিত।
কিন্তু খিচুড়ি বা দেশিয় উপাদানে তৈরী মহৌষধের ব্যাপারে অপুষ্টি দূরীকরণ কার্যক্রমে জড়িত দেশি-বিদেশি বেশীরভাগ সংস্থারই তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না… পাছে অপুষ্টিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুষ্টিকর ব্যবসা অপুষ্টির স্বীকার হয়।
প্রকাশকালঃ ২ জুলাই ২০১২
http://blog.bdnews24.com/rananathan/105900
No comments:
Post a Comment
Thank you for your time. I will get back to you soon.
Nathan