সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি ও সাগর সরওয়ারের হত্যায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে দায়ী করে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে সে ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এই পোষ্টটি লেখার প্রয়াস পেয়েছি।
মানুষ যখন স্বার্থপরতা এবং অনৈতিকতায় নিজেকে ভাসিয়ে নিজ মনুষ্যত্ব বিকিয়ে দেয়, তখন যে কোন অমানবিক কাজে তার গ্লানি বোধ পঙ্গু হয়ে যায়...
ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার পিছনের চরম সত্য জেনেও সম্মানহানীর আশংকায় নিশ্চুপ থাকার বা মিথ্যার আঘাতে সত্যকে ধবংসের চেষ্টা করার বদ অভ্যাস আমাদের মাঝে বিরাজমান।
আশেপাশে দৃষ্টিপাত করলেই এর যথার্থতা প্রতীয়মান হয়...
এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দাবি করার প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের মাঝে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে গেছে।
ফলশ্রুতিতে চার সংগঠন থেকে ৯ সাংবাদিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে শিল্পীদের দিয়ে সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে মাহফুজুর রহমান তার টেলিভিশনে কথা বলিয়েছেন।
মাহফুজুর রহমান সাংবাদিক দম্পতি হত্যার নেপথ্যে ছিলেন কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা সঠিকভাবে না জানলেও...
ইহা সত্য... যে কদাচরণের জন্য সাধারণ মানুষেরা শাস্তি পায়... সেই একই ধরনের কদাচরণে ক্ষমতাবানেরা যখন দুষ্ট হয় তখন...
সবার চোখে ধুলা দিয়ে কদাচরণ গুলো আড়াল করতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্মান রক্ষার একটি চেষ্টা প্রায়শঃই চক্ষুগোচর হয়ে থাকে...
সত্য আড়াল করে আপাতঃ ফল লাভ হয় সত্য... কিন্তু ইহাতে লাভের চেয়ে অলাভই বেশী।
আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই যখন দেখি... সম্পর্কের আপনতার কারণে... উন্মত্ত কদাচারীর কদাচরণের কাছে মাথা নত করে তার ইচ্ছা পূরণে... সমাজের বিবেক বলে পরিচিত মানুষদের নিজস্বতা বিসর্জন দিতে...
যা প্রকৃতপক্ষে কদাচারীর কদাচরণের পথকেই কুসুমাস্তীর্ণ করে...
প্রকাশকালঃ ২৫ জুন ২০১২
No comments:
Post a Comment
Thank you for your time. I will get back to you soon.
Nathan