ত্রিশোর্ধ রফিক সাহেব একজন সরকারি চাকুরে। এক
বছর বয়সি ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। হঠাৎ একদিন তার ইচ্ছা হল তার এক বছর
বয়সি ছেলের DNA (Deoxyribonucleic acid) পরীক্ষা করাবেন। সেই
সংগে নিজেরও।
যেই ভাবা সেই কাজ। খুব কষ্ট করে DNA টেষ্ট করানোর জন্য একটি ক্লিনিক এর ঠিকানা যোগাড় করে ফেললেন। সেই সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য দিন কালও ধার্য করে আসলেন ক্লিনিকে গিয়ে।
নির্দিষ্ট দিনে ছেলেকে নিয়ে বের হলেন ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে। পাছে স্ত্রী বুঝে ফেলে এইভেবে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য স্ত্রী কে বললেন ছেলেটাকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। ক্লিনিকে গিয়ে দেখলেন বিশাল লাইন। একে একে রফিক সাহেবের ডাক পড়ল ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার নাম ধাম জিজ্ঞেস করার পর DNA পরীক্ষার হেতু জানতে চাইলেন রফিক সাহেবের কাছে।
রফিক সাহেবঃ শোনেন ডাক্তার সাহেব, ইদানিংকালে নুতন এক ধরনের সম্পর্কের কথা শুনতেছি। এটি এখনও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে নাই তাই এর কোন নাম খুঁজে পাইতেছি না। বলতে পারেন এটা এক ধরনের “বায়বীয় সম্পর্ক”।
DNA- Deoxyribonucleic acid
ডি.এন.এ পরীক্ষার মাধ্যমে সহজে এবং নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব একটি সন্তানের পিতা এবং মাতা কে।
পিতৃত্ব নির্নয়ের জন্য কোষের নিউক্লিয়াস থেকে ডি.এন.এ গ্রহন করা হয় এবং নিশ্চিত ভাবে বলা যায় সন্তানের পিতাটি কে।
মাতার ক্ষেত্রে মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে ডি.এন.এ গ্রহন করা হয় এবং সন্তানের মা কে সেটাও ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা সহ জানা যায় এখানে ভুল করার সম্ভবনা নাই।
একজন মা'র যদি একাধিক সঙ্গী থাকে এবং জমজ সন্তান হয় সেক্ষেত্রে দু'টি সন্তান দুটি পিতার হতে পারে এছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে মিশ্র পিতৃত্বের সম্ভবনা নাই।
যেই ভাবা সেই কাজ। খুব কষ্ট করে DNA টেষ্ট করানোর জন্য একটি ক্লিনিক এর ঠিকানা যোগাড় করে ফেললেন। সেই সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য দিন কালও ধার্য করে আসলেন ক্লিনিকে গিয়ে।
নির্দিষ্ট দিনে ছেলেকে নিয়ে বের হলেন ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে। পাছে স্ত্রী বুঝে ফেলে এইভেবে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য স্ত্রী কে বললেন ছেলেটাকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। ক্লিনিকে গিয়ে দেখলেন বিশাল লাইন। একে একে রফিক সাহেবের ডাক পড়ল ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার নাম ধাম জিজ্ঞেস করার পর DNA পরীক্ষার হেতু জানতে চাইলেন রফিক সাহেবের কাছে।
রফিক সাহেবের জবানীতে বাকি ঘটনা শুনুন...
পাঠক রফিক সাহেবের জবানীতে বক্তব্যটি তুলে
ধরার আগে একটি বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
লেখাটি প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সন্দেহবাতিক মুক্ত
পাঠকেদের জন্য। একটু নেতিবাচক, তাই ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
রফিক সাহেবঃ শোনেন ডাক্তার সাহেব, ইদানিংকালে নুতন এক ধরনের সম্পর্কের কথা শুনতেছি। এটি এখনও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে নাই তাই এর কোন নাম খুঁজে পাইতেছি না। বলতে পারেন এটা এক ধরনের “বায়বীয় সম্পর্ক”।
ডাক্তারঃ ওহ! বুঝতে পেরেছি আপনি Disposable সম্পর্কের কথা বলছেন।
রফিক সাহেবঃ আরে না, কি যে বলেন... Disposable
সম্পর্ক হল ক্ষণস্থায়ী। এটা ভিন্নতর। এই বায়বীয় সম্পর্কটা বোঝা এবং বোঝানো একটু
জটিল। আমি নিজেই এখনও পুরাপুরি বুঝে উঠতে পারি নি। বোঝার আপ্রান চেষ্টা করছি। তবে
বাজি ধরে বলতে পারি বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপটে বিবাহ বহির্ভুত যত ধরনের সম্পর্কের
সংজ্ঞা ইতিপূর্বে জ্ঞাত হয়েছি এটি তাদের থেকে ভিন্নতর।
ডাক্তারঃ আমি তো জানি বাংলাদেশে স্বামী
স্ত্রী-র সম্পর্কে সাধারনত তিন ধরনের পরিস্থিতি বিদ্যমান:
১. স্বামী স্ত্রী-র মাঝে ভালবাসা এবং
বোঝাপড়া আছে। বিশ্বাসের ভিত্তি অন্তত দৃঢ়। এই ক্ষেত্রে সাধারনত পরিবারে আনন্দ,
সুখ, শান্তির একটা পরিবেশ বজায় থাকে।
২. স্বামী স্ত্রী-র মাঝে মনের মিল নেই।
চিন্তা ভাবনায় মিল নেই। যা হয়ত পূর্বে আংশিক বা পুরোপুরি ছিল। কিন্তু যে কোন
একজনের (কোন কোন ক্ষেত্রে উভয়েরই) চিন্তা চেতনার পরিবর্তন, আর্থিক, সামাজিক
অবস্থার উন্নতি বা অবনতি এই অবস্থার সৃষ্টি করে। এত কিছুর পরেও স্বামী স্ত্রী অনেক
ত্যাগ স্বীকার করে পরিবারে শান্তি বজায় রাখে।
৩. স্বামী স্ত্রী সবসময় ঝগড়া, অশান্তি, কোন
কোন ক্ষেত্রে মারামারিতে লিপ্ত এবং এর ফলস্বরুপ পরবর্তিতে প্রতারনা, পরকিয়া,
নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া, আলাদা থাকা, বিবাহ বিচ্ছেদ, খুন ইত্যাদি ইত্যাদি...
তো কোন ধরনের পরিস্থিতির পরিবারের নারী
পুরুষ সদস্য-রা এই বায়বীয় সম্পর্কের স্বীকার বেশি হচ্ছে।
রফিক সাহেবঃ তা তো বলতে পারব না, তবে যতটুকু
জানতে পেরেছি বায়বীয় সম্পর্কে জড়িত নারী অথবা পুরুষ সাধারনত ঘরের শান্তি যথাসম্ভব
বজায় রেখে অথবা শান্তি না থাকলেও, মানসিক ভাবে অন্যের স্ত্রী বা স্বামী রূপে নিজেকে
কল্পনা করে এবং সেই কল্পনার জগতে জীবন যাপন করে। এদের দুই ধরনের জীবন থাকে, একটি
জাগতিক এবং একটি কাল্পনিক।
ডাক্তারঃ এটা তো মনে হচ্ছে একটা মানসিক রোগ।
রফিক সাহেবঃ এটা কোন মানসিক রোগ কিনা আমি
বলতে পারবো না। কিন্তু শুনেছি এই সম্পর্ককে তারা প্রকৃতিগত বলে দাবি করে। যা উদার
মানসিকতা (Open minded) সম্পন্ন মানুষ ছাড়া নাকি বোঝা সম্ভব নয়। তাদের মতে সমাজে
বেশিরভাগ মানুষই নীচু মানসিকতা (narrow minded) সম্পন্ন তাই এই সম্পর্কের
ব্যাপারটা বোঝার ব্যাপারে অজ্ঞ। তাদের মতে এই সম্পর্ক প্রকৃতিগত (আমার মতে বায়বীয়) যা
জাগতিকতার উর্ধে।
ডাক্তারঃ হুমম...
রফিক সাহেবঃ আবার বলতে শুরু করেন... বায়বীয়
সম্পর্কে জড়িত নারী পুরুষগন প্রায়ই প্রকৃতির কাছে চলে যায়, নিজেদের কল্পিত জগতটিকে
কিছু সময়ের জন্য বাস্তব রূপ দানের প্রত্যাশায়, সেই সঙ্গে নিজেদের সুপ্ত আশা আকাংখা
গুলো পরিপূর্ন করার অভিপ্রায়ে। এদের ধারনা হচ্ছে প্রকৃতি তাদের দু’জনকে দু’জনের
জন্য সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের আবর্তে তারা আলাদা হয়ে গিয়েছে।
বিয়ে নামক কোন জটিলতা এদের পছন্দ নয়। এতে
নাকি সম্পর্ক আকাশের মত খোলা বা উদার থাকে না। এদের সম্পর্কের কোন সীমারেখা নেই।
ডাক্তারঃ এটা তো নাজায়েজ কাজ।
রফিক সাহেবঃ এরা নিজেদের সম্পর্ক চালিয়ে
নেওয়ার ব্যাপারে নৈতিকতা, ধর্মীয় রীতি নীতির তোয়াক্কা করে না। সমাজকে এরা মানে না।
এরা সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত কোন সম্পর্ককে স্বীকার করে না।
ডাক্তারঃ এটা তো মনে হচ্ছে Platonic Love...
রফিক সাহেবঃ না না... Platonic Love এর সাথে
এক করে ফেলবেন না। Platonic Love এর ক্ষেত্রে যৌনক্রিয়া ঘটিত কার্যকলাপ অনুপস্থিত
থাকে।
ডাক্তারঃ এ তো সাংঘাতিক ব্যাপার...!
রফিক সাহেবঃ বায়বীয় সম্পর্কে জড়িত নারী
পুরুষ তাদের সম্পর্কের ফসল কে “লাভ বেবি” অথবা “প্রকৃতির দান” হিসাবে আখ্যায়িত
করে। কিন্তু সমাজ গ্রহন করবে না বিধায় (যদিও তারা সমাজকে মানে না) নারীটি
গর্ভসঞ্চারের সাথে সাথে এমন একটি কৌশল (প্রতারনা বললে ভুল বলা হবে না) অবলম্বন করে
যেন স্বামীটি মনে করে সন্তানটি তার। স্বামীটি জানতেও পারে না যে সন্তান-টি তার নয়।
সমাজে সন্তানটি একটি মিথ্যা পরিচয়ে বড় হতে থাকে।
ডাক্তারঃ স্বামী যদি এই সম্পর্ক বা সন্তান
নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে...?
রফিক সাহেবঃ কোন কারণে স্বামী যদি এই
সম্পর্ক বা সন্তান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়
এবং প্রয়োজন হলে এরা স্বামী এবং আত্মীয়স্বজনকে Dispose করেতেও দ্বিধাবোধ করে না।
ডাক্তারঃ ব্যাপারটা অনেকটা পরকিয়ার মত মনে
হচ্ছে...।
রফিক সাহেবঃ দয়া করে এই সম্পর্ককে পরকিয়ার
সাথে তুলনা করবেন না। কারন পরকিয়ায় লিপ্ত নারী পুরুষের মাঝে একটা পাপবোধ কাজ করে।
বায়বীয় সম্পর্কে জড়িত নারী পুরুষ তাদের সম্পর্ককে অনৈতিক বলে মনে করে না।
ডাক্তারঃ তাহলে কি এখানে আধ্যাত্মিক কোন ব্যাপার আছে?
রফিক সাহেবঃ অনেক সময় এরা নিজেদের মাঝে আধ্যাত্মবাদের
গন্ধ
পেতে চেষ্টা করে। কারন আধ্যাত্মবাদের প্রমাণবিহীন যুক্তি যেকোন বুদ্ধি সচেতন মানুষকে হতবাক করবে
এতে কোন সন্দেহ নেই। আধ্যাত্মবাদের তত্ত্ব দিয়ে কাজ না হলে যুক্তিবাদী ও
মানবতাবাদী সম্পর্কিত বুলি আওরায় এবং nothing এর
মাঝে something কে খুঁজে বেড়ায়।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য, মহাবিশ্বের বাইরে
অন্য মহাবিশ্ব নিয়ে এদের চিন্তার শেষ নেই। কিন্তু এই ধরাতল বা এই ধরাতলের মানুষকে
নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই। এই ধরাতলের
সমস্ত অধিকার, সুযোগ সুবিধা ১০০ ভাগ উপভোগ করার ব্যাপারে এরা এতটুকুও কার্পন্য করে
না। তবে অন্যের অধিকার সম্পর্কে এদের কোন মাথা ব্যথা নেই। নিজেদের লুক্কায়িত
সম্পর্কের ব্যাপারে এরা যুক্তিবাদী। কিন্তু অন্যান্য সম্পর্কের বেলায়
স্বার্থপর।
ডাক্তারঃ এটা তো সম্পুর্ণ অনৈতিক...
রফিক সাহেবঃ বায়বীয় সম্পর্কটি কোন রোগ বা
অনৈতিক কাজ কি না আমি সেই তর্কযুদ্ধে যেতে চাই না। তাহলে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে
যে কোন ধারায় পরে যেতে পারি। কারণ সমাজে এরা খুবই শক্তিশালী। তবে এই সম্পর্কে জড়িতদের মতে এটা কোন রোগ বা অনৈতিক
কাজ নয় বরং উচ্চ বা উন্মুক্ত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ যা হৃদয় এবং প্রকৃতি দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত।
সম্পর্কটি মানসিক,শারিরীক, কল্পনা, বাস্তব,
জাগতিক, প্রাকৃতিক, আধ্যাতিক, মানবতাবিরোধী, অনৈতিক, প্রতারনা, অধর্ম, পাপে
পরিপুর্ন,... যাই হোক না কেন আমি যতটুকু আমি বুঝেছি তা বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
পারলাম কি না জানি না।
আমি এই সম্পর্কের ব্যাপারে প্রথম শোনার পর আমার
কাছে কেমন যেন “হাওয়া” “হাওয়া” মনে হচ্ছিল। পুরো ব্যাপারটা মনে হচ্ছিল আমার
এন্টেনার বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই হয়ত “বায়বীয় সম্পর্ক” নামটা আমার কাছে যথাযথ
মনে হয়েছে।
ডাক্তারঃ আপনি তো ভাই অনেক কিছু জানেন এই
ব্যাপারে। আচ্ছা বলেন তো এই সম্পর্ক করতে চাইলে কি কি জানতে হয়...।
রফিক সাহেবঃ আমার প্রথম কথা হল এই ধরনের সর্বনাশী সম্পর্ক
থেকে দূরে থাকুন এবং অন্যকেও দূরে থাকতে সাহায্য করুন।
আর কি কি জানতে হয়?... বলছি
পুরুষদের জন্য: পদার্থবিদ্যা (কোয়াণ্টাম মেকানিক্স),
জ্যোতিঃশাস্ত্র, দর্শন শাস্ত্র সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান থাকতে হবে, অপর পক্ষকে
মোহিত করার জন্য। সাথে জানা থাকতে হবে কিছু কবিতার লাইন। নিয়মিত শরীর চর্চা, আর
লেখালেখির একটু অভ্যাস, সেন্স অব হিউমার। চিত্রশিল্পী হলে, সোজাকথায় আঁকাআঁকি জানা
থাকলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। ওহ! আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। যুক্তিবাদী হতে
হবে+চাপাবাজি+প্রতারনা জানতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে মন্দ হয় না। আকাশ,
বাতাস, নদী, সাগর, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, প্রকৃতি নিয়ে রোমাণ্টিক ভাব ভঙ্গি নিয়ে কথা
বলতে জানতে হবে। মোট কথা হল আপনাকে জ্ঞানী রোমাণ্টিক ভদ্রলোক (অন্তর্নিহিত বাসনা
লুক্কায়িত রেখে) হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। আপনার Learning difficulties যেন
কোনভাবেই প্রকাশ না পায়, তাই অভিনয়ের ছোট একটা কর্মশালায় অংশগ্রহন করতে
পারেন।
নারীদের জন্য: কিছু কবিতার লাইন জানতে হবে, এইক্ষেত্রে
জীবনানন্দ দাসের কবিতা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। জ্ঞানের কথা শুনে আশ্চর্য
হওয়ার ভান করার অদ্ভুত ক্ষমতা থাকতে হবে। অভিনয়ে দক্ষ হতে হবে। প্রতারনার যাবতীয়
কৌশল গুলো আয়ত্ব করতে হবে। ইণ্টারনেট থেকে হিন্দী রোমাণ্টিক গানের ইংরেজি লিরিকস
কপি করতে জানতে হবে। ওহ্! নিয়ম ভাঙ্গার ইচ্ছা থাকতে হবে।
ডাক্তারঃ এটা তো অনেক কষ্টকর ব্যাপার।
রফিক সাহেবঃ সম্পুর্ণ ব্যাপারটাই
প্রতারণা... ভাওতাবাজি। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক।
ডাক্তারঃ আচ্ছা ভাই আপনার ঘটনা তো শুনলাম।
তো এর সাথে আপনার এবং আপনার সন্তানের DNA পরীক্ষার সম্পর্ক কোথায়?
রফিক সাহেবঃ আপনি এখনো বুঝতে পারছেন না!!!!
ডাক্তারঃ আপনি যে ঘটনার কথা বললেন এতে
অন্তহীন তর্কযুদ্ধের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে সম্পুর্ণ ব্যাপারটাই আপনার
উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা প্রসূত যার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। আপনি বরঞ্চ কোন ভাল
মানসিক ডাক্তারের কাছে যান।
রফিক সাহেবঃ তা না হয় যাব। কিন্তু আমি যে
কাজে এসেছি সেই DNA পরীক্ষা টা তো করেন।
এরপর রফিক সাহেব এবং তার ছেলের DNA পরীক্ষা
করা হয়েছিল। কিন্তু তার ফলাফল কি ছিল তা রফিক সাহেব এবং ডাক্তার সাহেব ছাড়া কেউ
জানে না। তবে এটা শোনা গেছে, ডাক্তার সাহেবকে শেষ পর্যন্ত মানসিক রোগের ডাক্তারের
শরণাপণ্ণ হতে হয়েছিল এবং রফিক সাহেব আজ পর্যন্ত সেই DNA পরীক্ষা সম্পর্কে কাউকে
কিছু বলেন নি, তবে ছেলেটিকে নিজের ছেলে হিসেবেই সমাজে প্রতিষ্ঠীত করেছেন।
DNA সম্পর্কে জানুন:
DNA- Deoxyribonucleic acid
ডি.এন.এ পরীক্ষার মাধ্যমে সহজে এবং নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব একটি সন্তানের পিতা এবং মাতা কে।
পিতৃত্ব নির্নয়ের জন্য কোষের নিউক্লিয়াস থেকে ডি.এন.এ গ্রহন করা হয় এবং নিশ্চিত ভাবে বলা যায় সন্তানের পিতাটি কে।
মাতার ক্ষেত্রে মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে ডি.এন.এ গ্রহন করা হয় এবং সন্তানের মা কে সেটাও ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা সহ জানা যায় এখানে ভুল করার সম্ভবনা নাই।
একজন মা'র যদি একাধিক সঙ্গী থাকে এবং জমজ সন্তান হয় সেক্ষেত্রে দু'টি সন্তান দুটি পিতার হতে পারে এছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে মিশ্র পিতৃত্বের সম্ভবনা নাই।
পরিশেষে এই লেখাটি লিখতে তথ্য দিয়ে সাহায্য
এবং সম্পুর্ণ বিষয়টি আমার বোধগম্য করে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য বিশেষ করে ছবিটি পাঠানোর জন্য তথ্যদাতাকে
আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment
Thank you for your time. I will get back to you soon.
Nathan