Thursday, May 31, 2012

সমন্বয়হীন কল্পনা ও বাস্তব...

প্রত্যেকেরই কল্পনার একটা জগত থাকে, পাশাপাশি একটি বাস্তব জগত। কল্পনার জগতের প্রভাব বাস্তব জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই পরে বলে আমার বিশ্বাস। আর কল্পনার প্রভাবের তারতম্যের কারণে প্রত্যেকটি মানুষের চিন্তাভাবনাতেও থাকে বিস্তর ব্যবধান।

বাস্তব জীবনের একটি সীমারেখা আছে... কিন্তু কল্পনা জগত সীমাহীন। বাস্তব জগত নিয়মে আবর্তত... অন্যদিকে নিয়ম ভাঙ্গাই হচ্ছে কল্পনা জগতের একমাত্র নিয়ম... প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Monday, May 28, 2012

উন্মুক্ত আকাশ... উন্মুক্ত আমরা...

বুভুক্ষু এই মন সর্বক্ষণ লেখার উপকরণ খুঁজিয়া বেড়ায়। কোন কিছুর মাঝে লেখার মত প্রোটিন পাইলেই হাতগুলি নিশপিশ করিতে থাকে। ব্লগিং আমার পেশা না হইলেও নেশা অবশ্যই।

... ghorer kotha pore janlo kamne? oije omne !!!! kichu kichu kotha nijer mone chepe rakhai valo... beshi bolle ghor ar porer modhe parthokko thake na...

উপরের লেখাটি আমার এক ফেসবুক বন্ধুর ওয়াল থেকে কপি পেষ্ট করিয়াছি।

পোষ্টটিতে বন্ধুটি আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথাকে ল্যাটিন বর্ণমালায় বাংলা উচ্চারণে সহজ কথায় “বাংটিন” ষ্টাইলে আরও সহজ করিয়া বলিলে “বাংলিশ” ষ্টাইলে মনের ভাব প্রকাশ করার প্রয়াস পাইয়াছেন।
  ...প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Friday, May 25, 2012

উইথ অ্যা প্রোফাইল পিকচার...


তোমার উপস্থিতিতে আমি কেমন যেন মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি, নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। ভারচুয়েল জগতে তোমার উপস্থিতি... তারপরও কেন এমন আবেগিত হই আমি!

কি আছে তোমার মাঝে যা আমাকে এভাবে আকর্ষণ করে। তোমার প্রতি বারবার মোহবিষ্ট হয়েও, অনেক কষ্টে বাস্তবে নিজেকে ধরে রাখি... পাছে তুমি বুঝে ফেল আমার দুর্বলতা... আমার আবেগ... আমার প্রকৃত অবস্থা...প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

অমিতের লাবণ্য নই...

...

তুমি রক্ষণশীল, পরিবর্তনবিরোধী...
...

তুমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন, বুদ্ধিমান কিন্তু অন্তর্মুখী... তোমার চিন্তার জগতের ব্যপ্তি সামান্য...
...

তুমি খুব পজেসিভ, সব কিছুতে মস্তিষ্ক ব্যবহার কর... কোন কিছু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি কর না...
প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Thursday, May 24, 2012

আমি তোমাদেরই একজন ছিলাম

প্রিয় বন্ধুরা,

এখন রাত ১ টা... হিসেবে তোমাদের এখন ভোর... প্রায় পাঁচটা। তোমরা সবাই এখন গভীর ঘুমে মগ্ন। সবাই যমুনা রিসোর্টে একত্রিত হয়েছ... পরীক্ষণ ও পরীবিক্ষণ বিষয়ক নতুন দিক নির্দেশনা পাবার তাগিদে।

আজ আমারও তোমাদের সাথী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়ে উঠল না। আজ যখন আমি অবগত হলাম তোমরা সবাই একত্রিত হয়েছ... আমার কেন যেন মনটা ব্যথিত হয়ে উঠল। তোমাদের সবার মুখ এক এক করে স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠল ...প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Wednesday, May 23, 2012

তোমার বিশালতায় অবগাহিত হব...

স্বপ্নের মতো ছিল হিমালয় আর তার সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট। অধরাই ছিল এই চূড়া। হিমালয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ পুরনো। হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমাদের জানা ছিল আন্দিজ পর্বতমালাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ...প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

প্রতিফলিত স্বকীয়তা...

এই পৃথিবীতে জীবনের এবড়ো থেবড়ো পথে চলতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ই আসল-নকলের পার্থক্য বুঝতে পারি না।


যা দেখি ঐ মূহুর্তে তা ঠিক মনে হলেও পরবর্তিতে তা ভুল বলে মনে হয়... কোন কথা এখন ঠিক শোনালেও তা পরবর্তিতে ভুল বলে প্রমানিত হয়...প্রথম আলো  ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Tuesday, May 22, 2012

আজ অপ্সরী কে বলেছি...

আজ অপ্সরী কে একটি কথা বলেছি...! কি বলেছি...? তা বোঝার জন্য আমার এই লেখাটি দয়া করে পড়ু্ন...

উইকিপিডিয়া প্রদত্ত বিবাহের
সংগাটি পড়ে আমি অবাক হয়েছি। এখানে আবেগ, অনুভুতি, বিশ্বাস, মন, ভালবাসা, বোঝাপড়া, নির্ভরতা... বিষয় গুলোর কোন উল্লেখই নেই।

আজ বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে উপদেশমূলক কিছু বাক্য ছুঁড়ে দেওয়ার তাড়নায় এই লেখাটির অবতারণা......প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Monday, May 21, 2012

একটু অন্ধকার চাই...!

লোডশেডিং বা লোড শেয়ারিং... যাই বলুন না কেন... শব্দগুলো বাংলাদেশে খুবই পরিচিত। শব্দগুলো ভুলে যেতে চাইলেও ভোলার কোন উপায় নেই। দেখবেন দাঁত কেলিয়ে হি হি করতে করতে দুষ্টু বালকের মত প্রতিদিন নিজস্ব উৎসাহে স্বআমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে আপনার জীবনে হাজির হয়ে জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে... প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Sunday, May 20, 2012

কে জানে, হালুম ক'রে পড়ল যে কার ঘাড়ে...


পাঠক, আমার প্রতিটি লেখা মূলতঃ আমার অনুভুতি, অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণর উপর ভিত্তি করে লিখে থাকি।

আর সেই লেখার প্রাণ হল বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া আপনাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, কল্পনা, অনুভুতিগুলো। মোটকথা আমার লেখাগুলো আপনাদের হাসি, কান্না আনন্দ আর আমার অনুভুতির মিশেল।

আপনাদের অনুভুতিগুলো আত্মস্থ করে লেখনিতে প্রকাশ করতে গিয়ে প্রায় সময়ই অশ্রু আপন আবেগেই গড়িয়ে পড়ে। আবেগের অশ্রুকে বাগে আনার বৃথা চেষ্টা আমি কখনও করি না।

কিন্তু বিবেকের তাড়নায় আমার লেখনী বন্ধ করতেও পারি না। 


সম্প্রতি আমারই খুব কাছের এক বন্ধু তার একান্ত কিছু অনুভুতি আমার সাথে ভাগাভাগি করে। আমি আমার সীমিত জ্ঞান দ্বারা যতটুকু সম্ভব তার  মানসিক শক্তি যোগানোর চেষ্টা করেছি। জানি না এতে সে কতটুকু মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছে... 

তবে সে আমার মনোজগতে একটি চিন্তার বীজ বপন করে দিয়ে গেছে। আর তারই ফলস্বরূপ আজকের এই লেখাটির অবতারণা।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে পারিবারিক কলহ এবং এর পরিণতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে আমাদের খ্রিষ্টান সমাজের পরিবার গুলোর মাঝে। যা সত্যিই উদ্বেগজনক। 
বিষয়টি নিয়ে আমার ভাবনার শুরু বেশীদিনের নয়। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে চিন্তার শাখা প্রশাখা আমার মাঝে বিস্তার লাভ করার সাথে সাথে আমি এর প্রকৃত স্বরূপ বোঝার চেষ্টা করেছি।

আমার নিজের কপালে বিবাহ বিচ্ছেদের তিলকটি এখনও না পড়াতে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এই বিষয়টি এখনও অন্তর্ভুক্ত হয় নি। 

এই অসম্পূর্ণতার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে, আমি দ্বারস্থ হয়েছিলাম এই কঠিন সময় অনুভুত হওয়া কয়েকজনের সান্নিধ্যে পেতে। 

একটি ঘটনা শুনুন... ( বরাবরের মত এই গল্পের চরিত্রগুলোও কাল্পনিক...)

একটি খ্রিষ্টীয়ান পরিবার। সদা হাস্যময়ী স্ত্রী কে নিয়ে ছেলেটির সুখের সংসার। মেয়েটি বিয়ের আগে একটি চাকুরী করত। কিন্তু বিয়ের পর সংসারের কথা ভেবে সে চাকুরিটী ছেড়ে দেয়।

ছেলেটিকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয় নিজের কাজে। মেয়েটিও ব্যস্ত সারাদিন সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম নিয়ে।

ছেলেটিকে কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই ঢাকার বাইরে এমনকি দেশের বাইরে যেতে হয়। কিছুদিন হল ছেলেটি দেশের বাইরে গিয়েছে নিজের কাজে।

কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় একটি টেলিফোন এল। অপর প্রান্ত থেকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে একজন খবর দিল যে, ছেলেটি দেশের বাইরে গিয়েছে অন্য এক মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে।

মেয়েটি এই খবরটি পাওয়ার পর ছেলেটির পরিবারকে জানায়... খবর পাওয়ার সংগে সংগে ছেলেটির আত্মীয় স্বজন ধরে নিলেন এটা তাদের ছেলেকে বিপদে ফেলার জন্য কেউ ফন্দি করেছে।

ছেলেটিকে ফোন করা হল এবং তাকে পরিবার থেকে এই ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হল এই বলে যে “আমাদের সম্মানহানির জন্য আমাদের পিছনে শত্রু লেগেছে”।

পরবর্তিতে প্রকাশ পায় যে, ছেলেটি সত্যিই একটি মেয়েটিকে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমা করতে ভারতে গিয়েছিল। মেয়েটি অন্য ধর্মাবলম্বী। ছেলেটি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তিতে স্বীকার করতে বাধ্য হয়।

পরের ঘটনা এই, আইনবিদ এর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে ছেলেটি বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান পূর্বক তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়।

উপরোক্ত ঘটনাটি আমাদের সমাজে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। 

ঘটনাটি পড়ে শত কোটি প্রশ্নের উদয় হওয়া স্বাভাবিক। এরা কারা? ঘটনাটি কেন ঘটল? স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে কি কোন সমস্যা ছিল? গন্ডগোল করে একসাথে থাকার চেয়ে এটাই ভাল হয়েছে... ইত্যাদি ইত্যাদি...

কোন ঘটনা বিচার এবং বিশ্লেষণে যে প্রশ্নগুলো সাধারণত আমাদের মনে উদিত হয়, তা আমাদের নিজস্ব নিজস্বতা থেকে। আমাদের প্রশ্নের ধরণগুলো যেমন ভিন্ন হয় আমাদের কল্পিত সমাধান গুলোও হয় ভিন্নতর।

আবার এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই, কোন দুর্ঘটনা নিজের জীবনে বা খুব কাছের কারও জীবনে ঘটলে আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করি... অন্যদের জীবনে সেই একই ধরণের ঘটনা বিবেচনায় আমাদের দৃষ্টীভঙ্গির বিভিন্নতা দেখা যায় প্রায়শই।

এই লেখাটিতে আমি উপরোক্ত ঘটনাটির শেষ অধ্যায়টি নিয়ে আলোকপাত করতে চাই।

আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি, বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান পূর্বক ছেলেটি তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়।

বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যটি সম্পাদন করার পর ছেলের পরিবারের গুরুজনদের মাঝে সম্মান রক্ষার একটি ব্যাপার চলে আসে। সম্মান রক্ষার অভিনব পদ্ধতি হিসাবে তারা প্রচার শুরু করেন সমস্ত কিছু আইন মেনে সম্পাদন করা হয়েছে।

মেয়ের অনুমতি নিয়েই সব করা হয়েছে। মেয়েকে ঠকানো হয়নি। মেয়ের অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। যদিও তাদের কাছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর ছিল না, কি ভাবে মেয়ের অধিকার রক্ষিত হয়েছে।     

খ্রিষ্টান সমাজের বেশ কয়েকজন নারী নেতৃ ধিক্কার দিয়ে বলেন “মেয়েটি টাকার লোভে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে”। ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলা করা যেত। আমরা সমস্ত সাহায্য করতে পারতাম। যদিও সেই নেতৃদের অনেকেই এই ঘটনাটি বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার আগে থেকেই অবহিত ছিলেন। কিন্তু নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে সাহায্য করার প্রয়োজন অনুভব করেন নি।

খ্রিষ্টীয় সমাজ এবং  ধর্মীয় নেতা-নেতৃগন এই ঘটনার পর বলতে শুরু করেন, খ্রীষ্টীয়ান ধর্মীয় আইন অনুযায়ী এই ধরণের বিবাহ বিচ্ছেদ গ্রহনযোগ্য নয়। এটা ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শয়তানের কাজ। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই নেতা-নেতৃগনের অনেকেই এই ঘটনাটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

এই ঘটনার সাথে জড়িত আইনবিদরা দুটি শব্দ বেছে নিলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য, শব্দ দুটি হচ্ছে “mutual understanding” বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় “পারস্পরিক সমঝোতা”। তারা বলতে শুরু করেন সব কিছু আইনসিদ্ধ ভাবে “mutual understanding” এর ভিত্তিতে করা হয়েছে।  

সাধারন দৃষ্টিকোণ থেকে উপরোক্ত ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে প্রথমত যে প্রশ্নগুলো আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তা হল:

? মেয়েটি কি আইনি লড়াই করতে চেয়েছিল? আইনি লড়াইয়ের ব্যাপারে ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্যের কোন আশ্বাস কি মেয়েটি পেয়েছিল?

? আইনি লড়াই না করে এই ঘটনাটি মেনে নিতে মেয়েটির উপর কি কোন চাপ বা হুমকি প্রদান করা হয়েছিল ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে? যার ফলশ্রুতিতে মেয়েটি mutual understanding এর নামে লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রদান করতে বাধ্য হয়? 

? কোন কিছু বাধ্য হয়ে মেনে নেওয়া আর mutual understanding কি একই অর্থ বহন করে?

? ছেলেটির পরিবার কি ছেলেটির এই ইচ্ছাকৃত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল? নাকি mutual understanding - এর নামে অর্থের বিনিময়ে ছেলেটির অন্যায় কে আড়াল করাই ছিল ছেলেটির পরিবারের মূল লক্ষ্য? যদি তাই হয় তাহলে mutual understanding - এর নামে অর্থের বিনিময়ে সম্পাদিত এই চুক্তি নৈতিকভাবে কতটুকু গ্রহনযোগ্য?

?মেয়েটি কি সত্যিই টাকার লোভে পড়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে?

? অন্যায় করেও অর্থের বিনিময়ে mutual understanding -এর নামে রক্ষা পাওয়ার এক অভিনব পন্থা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কি উদাহরণ হিসাবে তুলে দেওয়া হল এই ঘটনার মাধ্যমে?

জানতে ইচ্ছা করে বিবাহের সময় সবাই mutual understanding  এর মাধ্যমে চার্চ এ গিয়ে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন অনুযায়ী বিয়ে করে, কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের সময় কেন ধর্মকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার এই প্রচেষ্টা। 

আসুন দেখি বাইবেলে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কি লেখা আছে...

ঈশ্বর যাহাদের যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক...। যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যাকে বিবাহ করে, সে তাহার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে; আর স্ত্রী যদি আপন স্বামীকে পরিত্যাগ করিয়া আর এক জনকে বিবাহ করে, তবে সেও ব্যভিচার করে...। মার্ক ১০:৯,১১,১২

আর বিবাহিত লোকদের এই আজ্ঞা দিতেছি- আমি দিতেছি তাহা নয়, কিন্তু প্রভুই দিতেছেন- স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে চলিয়া না যাউক- যদি চলিয়া যায়, তবে সে অবিবাহিত থাকুক, কিম্বা স্বামীর সহিত সম্মিলিতা হউক- আর স্বামীও স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করুক...। ১ করিন্থীয় ৭:১০

আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যাকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সেও ব্যভিচার করে...।  মথি: ১৯:৯ এখানে উল্লেখ্য যে ব্যভিচার (Sexual immorality i.e.. Adultry) শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক porneia থেকে যা থেকে ইংরেজী pornography শব্দটির উৎপত্তি।

তথাপি অবিশ্বাসী যদি চলিয়া যায়, চলিয়া যাউক... ১ করিন্থীয় ৭:১৫

বাইবেলের পুরাতন এবং নতুন নিয়মে আরও বহু অংশে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। 

কিন্তু অর্থের বিনিময়ে  mutual understanding এর উপর ভিত্তি করে বিবাহ বিচ্ছেদের কোন নির্দেশনা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। 

তবে শুনেছি খ্রীষ্টানদের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের বাংলাদেশীয় যে আইন রয়েছে তাতে ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সুযোগ রয়েছে।

আমি আইনবিদ নই তাই আইনের ব্যবচ্ছেদ করা আমার কর্ম নয়। তারপরও খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য লিখিত বিবাহ বিচ্ছেদের বাংলাদেশীয় আইনগুলো আমি মনোযোগ সহকারে পড়েছি। কিন্তু mutual understanding এর মাধ্যমে কিভাবে বিচ্ছেদ ঘটানো হবে বা mutual understanding এর মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের পূর্বশর্ত গুলো কি হবে তা বুঝে উঠতে পারি নি।

অপারগ হয়ে mutual understanding এর মাধ্যমে সফলভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো এক আত্মীয়ের সাথে কথা বললাম। কিন্তু উনিও সঠিক কোন উত্তর দিতে পারলেন না। উনি বললেন এটা উকিল বলতে পারবে।

সাধারন অর্থে mutual understanding means sympathy of each person for the other.

Mutual understanding এর মাধ্যমে  বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে দু'পক্ষেরই শক্ত ভিত্তি থাকা আবশ্যকীয়।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় কোন অন্যায় বাধ্য হয়ে মেনে নেওয়া আর mutual understanding কি একই অর্থ বহন করে?

ন্যায়-অন্যায়ের মাপকাঠি তো ঘটনা বিবেচনায় পৃথক হতে পারে না।

তবে ইহা অনস্বীকার্য যে জীবনের পরিক্রমায় বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় দাম্পত্য জীবন এমন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে যে বিবাহ বিচ্ছেদ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। স্বামী- স্ত্রী দু’জনেরই সমস্যা এবং এর পিছনে দু’জনেরই যুক্তিযুক্ত প্রমাণ থাকার কারণে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরিবারের সম্মতিক্রমতে এই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোতে বিরোধীতা কারও কাম্য নয়।

কোন কোন ক্ষেত্রে যথেষ্ট যুক্তি প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ বছরের পর বছর ঝুলে আছেন, কিন্তু কোন সমাধানে এখনো পৌঁছুতে পারেন নি। অনেকে আবার প্রমাণের অভাবে এবং সমাজের ভয়ে দুঃসহ দাম্পত্য জীবন মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন, এই পরিস্থিতিও কারও কাম্য নয়। 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই পদ্ধতির অপপ্রয়োগ নিয়ে। অনেক পরিবার এই বিষয়টি ভালভাবে না বোঝার কারণে mutual understanding-এর ফাঁদে পড়ে সব হারাচ্ছেন বা হারাতে চলেছেন।

ইদানিং দেখা যাচ্ছে অনেকে তাদের হীন স্বার্থ চরতার্থ করতে, নিজেদের অনৈতিক কার্যকলাপ কে আড়াল করতে বা অনৈতিক সুপ্ত ইচ্ছার বাস্তব রূপ দিতে এই পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে বা নেওয়ার চেষ্টা করছে।   


উপরে বর্ণিত ঘটনাটি তারই একটি বাস্তব উদাহরণ।

একপক্ষ নিজের অনৈতিক সম্পর্কের বলি করছে অপর পক্ষকে। নিজের অনৈতিক কার্যকলাপের পথ সুগম করার লক্ষ্যে অপরপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে mutual understanding  এর মাধ্যমে ডিভোর্স দিচ্ছে বা দেওয়ার পায়তারা করছে। 

এই সব একপাক্ষিক ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজটি হচ্ছে mutual understanding -এ অন্যপক্ষকে রাজী করানো।

অপর পক্ষকে mutual understanding -এ রাজি করানোর জন্য পারিবারিক চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদান এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে আইনের ভয়ও দেখানো হচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে সন্তানকে জিম্মি করে mutual understanding এ রাজী করানোর অপচেষ্টাও করা হচ্ছে।

এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে কিছু উক্তি অনেকের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। তা হচ্ছে " মন উঠে গেলে কি করবে... বা... সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে জোর করে জোড়া লাগানো সম্ভব না... বা... জোর করে একসাথে থাকার কোন মানে হয় না।"

কোন কোন ক্ষেত্রে কথাটি খুবই সত্যি।

কিন্তু উপরোক্ত ঘটনাটি বিবেচনায়, প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত  অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে  কেউ যদি "মন উঠে গেছে বলে" সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী তোলে তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? ... তাই বলে কি অন্যায়কারির অন্যায় বা অনৈতিক সম্পর্কটি মেনে নিতে হবে? আর সারাজীবন হৈমন্তী শুকলার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে "আমার বলার কিছু ছিল না..." গানটি যপে জীবন নদীতে বৈঠা মারতে হবে!!! 

যাক যা হয়ে গেছে তা নিয়ে কথা বলেছি অনেক। এবার আসুন একটু সামনের দিকে তাকাই...  

আসুন আমরা আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করি । সমাজে নিজেদের দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট হই। নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকি। অন্যকে বিশেষ করে সন্তানদের বঞ্চিত না করি।

আমাদের নিজেদের স্বার্থপরতার কারণে আর কোন মেঘ বালিকার জীবনে যেন ঘোর অমানিশা নেমে না আসে।

Mutual understanding বা “পারস্পরিক সমঝোতার” ভিত্তিতে পরিবার না ভেঙ্গে পরিবার গঠনে সচেষ্ট হই।

চলুন আজ থেকেই আমরা আমাদের চেষ্টা শুরু করি... তা না হলে কে জানে বিচ্ছেদের বার্তা নিয়ে mutual understanding নামক জুজুবুড়ী হালুম ক'রে যে কার ঘাড়ে কখন এসে পড়বে তার কোন ঠিক নেই।

প্রশ্ন উঠতে পারে সমাজে এই ধরণের ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারি...  প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত আমার  লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Saturday, May 19, 2012

মননের অনুকরণ এবং অনুসরণে আবদ্ধ জীবন...

ভ্রুন থেকে জন্ম নেওয়া মনন অনুকরণ এবং অনুসরণ করেই জীবনটা পার করে দিচ্ছে।

ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে তার অনুকরণ এবং অনুসরণের এই যাত্রা।

মাতৃজঠর থেকে এই ধরায় ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম কান্নাটি সে কি ভাবে কেঁদেছিল বা কাকে অনুকরণ করে শিখেছিল বা কে শিখিয়ে দিয়েছিল তা ওর ঠিক মনে নেই।

কিন্তু এরপর থেকে যা ঘটছে সবই তো শুধু অনুকরণ আর অনুসরণ...


প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Friday, May 18, 2012

অপ্সরী

সেদিন মধ্যরাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। অপ্সরীকে একটি ইমেইল পাঠালাম। সাথে সাথে উত্তরও পেয়ে গেলাম। ওর এই গুনটি আমার কাছে খুবই ভাল লাগে। ও যতই ব্যস্ত থাকুক ইমেইল এর উত্তর দিতে চেষ্টা করে... প্রথম আলো ব্লগে লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন... বিস্তারিত

Wednesday, May 16, 2012

শুভ জন্মদিন- কৃষ্টি

মেয়েটি তার বাবা মায়ের খুব আদরের। প্রতি বছর জন্মদিনের আগেই বাবাকে জিজ্ঞেস করে জন্মদিনে তার বাবা তাকে কি উপহার দিবে।

দেখতে দেখতে তার ১৫ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু ছোটবেলার উপহার চাওয়ার অভ্যাসটি এখনও রয়ে গেছে... প্রথম আলো ব্লগে এই লেখাটি বিস্তারিত পড়ুন...
বিস্তারিত 

শাড়ি

এই ব্লগের রিডারদের কেউ কেউ অনুরোধ জানিয়েছেন যেন সব সময় কঠিন বাস্তবতা নিয়ে না লিখে মাঝে মাঝে হালকা কোন বিষয় নিয়ে পোষ্ট রাখি ব্লগটিতে। অনেক ধরনের নতুন ধরণের আইডিয়াও দিয়েছেন অনেকে। একজন সম্মানিত রন্ধনশিল্পী রান্নার ব্যাপারেও পোষ্ট আশা করেছেন।

আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন ইতিমধ্যে এই ব্লগে আমার লেখার পাশাপাশি রিডাদের বেশ কিছু লেখা রাখা হয়েছে ।

প্রিয় রিডার " শাড়ি" নিয়ে আজকের এই লেখাটি আমাদেরই একজন রিডার লিখেছেন। তবে উনি উল্লেখ করেছেন এই লেখাটি মূলত একটি কমপাইলেশন। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।   

শাড়ির চল হয়েছিল ঠিক কবে? নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।

খানিকটা অনুমান করে নেওয়া যায়! সূত্র হিসেবে নেওয়া যাক 'শাড়ি' শব্দটির উৎস-সময়কালকে। সংস্কৃত 'শাটী' থেকে এসেছে 'শাড়ি'। তবে অনেকের ধারণা, সংস্কৃত হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও আদতে 'শাটী' ধার করা শব্দ।

আর্যরা ভারতবর্ষে আসার আগেই নাকি 'শাটী' শব্দটির অস্তিত্ব ছিল। সেই হিসেবে বলা যেতেই পারে, শাড়ির ইতিহাস সাড়ে তিন হাজার বছর কিংবা তারও বেশি পুরনো। আর্য ভাষায় 'শাড়ি'কে আরো বিভিন্ন শব্দে আখ্যায়িত করা হয়েছে_'সাটক', 'সাটিকা'। আবার 'মহাভারত'-এ উলি্লখিত দ্রৌপদীর যে 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছিল, অনুমিত হয়, সেটাও শাড়িই ছিল।

গুপ্ত যুগের (আনুমানিক ৩০০ থেকে ৫০০ সাল পর্যন্ত) বিখ্যাত কবি কালিদাসের 'কুমারসম্ভব'-এ শাড়ির কথা উল্লেখ আছে। গুপ্ত আমলের ইলোরা অজন্তা গুহার প্রাচীন চিত্রাবলি বলে দেয়, খ্রিস্টাব্দ শুরুর সময়ে শাড়ির অস্তিত্ব ছিল।

পাহাড়পুর-ময়নামতির পোড়া ফলক থেকেও প্রমাণ যায়, হাজার বছর আগে এই পূর্ববঙ্গে শাড়ির চল ছিল। তবে এসব শাড়ির সঙ্গে আজকের শাড়ির তফাৎ রয়েছে।

ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের মতে, আদিমকালে পূর্ব-দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে সেলাই করা কাপড় পরার চল ছিল না। এই অখণ্ড বস্ত্রটি পুরুষ পরলে হতো ধুতি আর মেয়েরা পরলে শাড়ি। উভয়ের শরীরের ওপরের অংশই থাকত উন্মুক্ত। তবে পালা-পার্বণে উচ্চবংশীয় নারীরা ওড়না জাতীয় কাপড়ে নিজেকে ঢেকে নিত।

মধ্যযুগের কবিদের কাছ থেকে শুধু শাড়ির কথাই জানা যায় না, শাড়ির রঙের কথাও জানা যায়।

চৌদ্দ শতকের কবি চণ্ডীদাস লিখেছেন, 'নীল শাড়ি মোহনকারী/উছলিতে দেখি পাশ'। প্রথম মা হওয়া নারীকে উপহার হিসেবে দেওয়া হতো লাল শাড়ি। শাড়ি পরার ক্ষেত্রে ধনী-গরিব বিভাজন ছিল। ধনীরা পরতেন মিহি মখমল কাপড়ের শাড়ি আর গরিবের শাড়ি ছিল সাধারণ সুতি।

মুসলমানরা আগমনের ফলে আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি পোশাক-পরিচ্ছদেও লাগে পরিবর্তনের হাওয়া।

তুর্কি-আফগান-মোগল সংস্কৃতির ধারা স্থানীয়রাও গ্রহণ করে। পাগড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও পায়জামার মতো পোশাক জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও শাড়ির গুরুত্ব কিন্তু কমে যায়নি। দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের নারীরা শাড়িকেই নিজেদের পরিধানের প্রধান বস্ত্র হিসেবে আঁকড়ে ধরে থাকে। সম্ভবত মোগল আমলেই চালু হয় ব্লাউজ ও উর্ধ্বাঙ্গ ঢাকার রীতি। তবে তা উচ্চবিত্তদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

মাদাম বেলনোসের চিত্রে উনিশ শতকের প্রথমদিকে গ্রামবাংলার অন্তঃপুরের যে ছবি পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায়, এক প্যাঁচেই শাড়ি পরেছেন বাংলার নারী। অধিকাংশ শাড়ির রংই সাদা। তবে পাড় হতো চিকন এবং লাল। সায়া-ব্লাউজ কিংবা অন্তর্বাসের চল ছিল না।

১৮৮৯ সালে ঢাকা জেলার একটি হিন্দু পরিবারের ওপর করা জরিপে দেখা যায়, একজন মহিলা বছরে পাঁচ-ছয়টি শাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। এগুলোর পেছনে খরচ হতো ৪ রুপি।

ফ্যানি পার্কস ১৮৫১ সালে তাঁর বইয়ে লিখেছেন, 'ধনী মহিলারাও শাড়ি পরত। শীতের সময় ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য বাড়তি হিসেবে ব্যবহার করত চাদর।' তবে তখনো ব্লাউজ-সায়া-পেটিকোটের চল হয়নি, চালু করল কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল।

ফুলহাতা ব্লাউজ এবং কুচিছাড়া শাড়িই ছিল সেই সময় উঁচু সমাজের নারীদের প্রধান ফ্যাশন। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি আর ব্লাউজ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে; এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে।

তবে শাড়ির কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, তা বলা যাবে না। ভারতবর্ষে শাসক গোষ্ঠী পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নাটকীয়ভাবে বদলেছে পুরুষদের পোশাক কিন্তু শাড়িকে তার প্রধান পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে আঁকড়ে রেখেছে নারী। তাই বলা যেতেই পারে, শাড়ি আর ভারতীয় নারী একে অপরের পরিপূরক।

মোগল যুগ
মোগলদের মধ্যে সম্রাট আকবরই প্রথম ভারতবর্ষের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা শুরু করেন। ভারতীয় নারীদের নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মোগল সংস্কৃতির সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সেই ধারাবাহিকতায়ই মোগলাই আভিজাত্যে যোগ হল শাড়ি।
 

নানা রকম দামি পাথর ছাড়াও সোনা-রূপার সুতা দিয়ে শাড়িতে নকশার কাজ করা হতো। মোগলদের আগ্রহের জন্য মসলিনের শাড়ির উপস্থিতিও থাকত জেনানা মহলে। মোগলদের জন্য মসলিন কাপড় সংগ্রহের জন্য সরকারি লোক নিয়োগ দেওয়া হতো।

 মসলিন

মসলিন
তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুত করা এক প্রকারের অতি সুক্ষ্ণ কাপড়।বাংলা মসলিন শব্দটি আরবি, ফারসি কিংবা সংস্কৃতমূল শব্দ নয়। এস. সি. বার্নেল ও হেনরি ইউল নামের দজন ইংরেজ প্রকাশিত অভিধান "হবসন জবসন"-এ উল্লেখ করা হয়েছে মসলিন শব্দটি এসেছে 'মসূল' থেকে। ইরাকের এক বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র হলো মসূল।

এই মসূলেও অতি সূক্ষ্ম কাপড় প্রস্তুত হতো। এই 'মসূল' এবং 'সূক্ষ্ম কাপড়' -এ দুয়ের যোগসূত্র মিলিয়ে ইংরেজরা অতিসূক্ষ্ম কাপড়ের নাম দেয় 'মসলিন'। অবশ্য বাংলার ইতিহাসে 'মসলিন' বলতে বোঝানো হয় তৎকালীন ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তি অঞ্চলে উৎপাদিত অতি সূক্ষ্ম একপ্রকার কাপড়কে।

মসলিন প্রস্তুত করা হতো পূর্ব
বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। মসলিনে তৈরি করা পোশাকসমূহ এতই সুক্ষ্ণ ছিলো যে ৫০ মিটার দীর্ঘ মসলিনের কাপড়কে একটি দিয়াশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেতো।

ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ঊনবিংশ শতাব্দীতে স্থানীযভাবে প্রস্তুত করা বস্ত্রের উপরে ৭০ হতে ৮০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যেখানে ব্রিটেনে প্রস্তুত করা আমদানীকৃত কাপড়ের উপরে মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ কর ছিলো। এর ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের তাঁতশিল্পে ধ্স নামে।

কথিত আছে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা মসলিন উৎপাদন বন্ধ করার জন্য মসলিন বয়নকারী তাঁতিদের হাতের বুড়ো আঙুল কেটে নেয। তবে অধুনা অন্য আরেকটু দাবি বেশ যৌক্তিকভাবে সামনে উঠে এসেছে, তা হলো, তাঁতিদের হাত ব্রিটিশরা নয়, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের আঙ্গুল কেটে নিতো, যাতে এই তাতেঁর কাজ আর না করতে হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে জামদানী নামে এক প্রকার পাতলা কাপড়ের শাড়ি পাওয়া যায়। তবে আগেকার যুগে 'জামদানী' বলতে বোঝানো হতো নকশা করা মসলিনকে।

জমিদারি আমল
মোগলদের বাংলা জয়ের পর 'জমিদার' একটি বিশেষ পদবি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। জমিদার মানেই বিশাল সম্পত্তির মালিক।


স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়ে ধনিক শ্রেণী হিসেবে 'জমিদার' গোষ্ঠীর আত্দপ্রকাশ ঘটে। তাদের সময়ে শাড়ি পরা হতো এক প্যাঁচে। ব্লাউজও এ সময়ে শাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে আবির্ভূত হয়। বিশেষ করে ঠাকুর পরিবারের মেয়েরা ব্লাউজকে সাধারণের কাছে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন।

ষাটের দশক
ষাটের দশকের শেষ থেকে সত্তরে প্রথম দিকে হিপ্পীদর স্লোগান ছিল 'ফুলের শক্তি'। সমসাময়িক সময়ে চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে 'ফুল'। পোশাকের নকশাতেও থাকত ফুলের প্রাধান্য, এমনকি সাজসজ্জায়ও।

পরে এ ফ্যাশনে নতুন মাত্রা আনে হিন্দি সিনেমার বহুল প্রচলিত 'মিনি শাড়ি'। বিশেষ করে বলা যেতে পারে 'সত্যম শিবম সুন্দরম' সিনেমাতে জিনাত আমানের পরা শাড়ির কথা। মিনি শাড়ির পাশাপাশি 'টেডি শাড়ি'র কথাও বলা যায়, যা অভিনেত্রী মমতাজ জনপ্রিয় করেছিলেন। শাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ব্লাউজেও লাগে পরিবর্তনের হাওয়া। ব্লাউজের গলা করা হয় অনেকটা নৌকার আদলে এবং ব্লাউজের পেছনের দিকটা আটকানোর জন্য থাকত মেগি ক্যাপের বোতাম

ভিক্টোরীয় যুগ
উনিশ শতকের চলি্লশ দশক থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কে বলা হয়ে থাকে 'ভিক্টোরিয়ান যুগ'। এ যুগে ফ্যাশনের মূল কথাই ছিল কাপড়ে সারা শরীর ঢাকা থাকতে হবে। এমনকি গোড়ালি দেখানোটাও অসম্মানকর হিসেবে বিবেচিত হতো।

ভারতের সেই গরমেও ইংরেজরা ভিক্টোরিয়ান ফ্যাশনের পোশাক পরতে পিছপা হননি। ব্রিটিশদের সংস্পর্শে থাকা জমিদার ও স্থানীয় ধনীদের পোশাক-পরিচ্ছদেও যোগ হয় ভিক্টোরিয়ান ফ্যাশনের স্টাইল। এ সময়ে শাড়ির সঙ্গে ফুলহাতা ব্লাউজ এবং পেটিকোট পরার চল শুরু হয়। এই রীতিতে শাড়ি পরাটা বাঙালি নারীর চিরায়ত এক প্যাঁচে শাড়ি পরার ধারণাকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।

১৯৪০-৫০ দশক
ব্রিটিশমুক্ত ভারতে ১৯৪০ দশকের শেষের দিক থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল হিন্দি চলচ্চিত্রের 'সোনালি সময়'। এসব চলচ্চিত্রের নায়িকারা ছিলেন তখনকার ফ্যাশন আইকন।


নার্গিস, মধুবালা এবং বৈজয়ন্তীমালার মতো নায়িকাদের পোশাক ভাবনা ভারত উপমহাদেশের নারীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করা শুরু করে। পাশাপাশি বাঙালি নারীদের সামনে ছিল সুচিত্রা সেন। তাঁর ছোট আস্তিন এবং লম্বা গলার ব্লাউজের স্টাইলগুলো ছিল দারুণ অনুকরণীয়। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজও এ সময়ে হয়ে ওঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে সাধারণ ব্লাউজও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়

১৯৭০-৮০ দশক

দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশ ১৯৭১-এ স্বাধীন এক দেশ হিসেবে আত্দপ্রকাশ করে। বাংলাদেশিরা নিজেদের সব কিছুর মধ্যে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা শুরু করে। তাদের পছন্দের শাড়ির মধ্যে জায়গা করে নেয় দেশি খাদি এবং তাঁতের শাড়ি। আর এসব শাড়ির সঙ্গে চুলের সাজও ছিল আলাদা, করা হতো লম্বা বেণি কিংবা খোঁপা। ফুল দিয়েই সারা হতো খোঁপা অলঙ্কৃত করার কাজ।

সে সময় আমরা পোশাকে অনুকরণীয় হিসেবে পেয়েছিলাম কবরী, শাবানা এবং ববিতার মতো অভিনেত্রী।

আন্তর্জাতিক সংগীতে একদিকে তখন ডায়ানা রসের ডিস্কো এবং অন্যদিকে বি জিসের জনপ্রিয় গান। এসবের সঙ্গে যোগ হওয়া ঝলমলে, জমকালো এবং চকচকে পোশাক পরার রীতি এ সময়ের শাড়ির ধরন ঠিক করে দেয়।

ঠিক তখনই দৃশ্যপটে আসে হিন্দি চলচ্চিত্র 'সিলসিলা'য় অভিনেত্রী রেখার পরা 'সিলসিলা' শাড়ি। ঘন রঙের এই শাড়ির সঙ্গে পরা হতো হাতাবিহীন কিংবা হোল্টার গলার ব্লাউজ।

আর সাজসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবে থাকত সুরমা, গাঢ় রঙের লিপস্টিক আর চিকন ভ্রূ। এ সময়ে শাড়ির সঙ্গে মিল করে কেশবিন্যাস নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। অনেকে পছন্দ করেছেন রেখার মতো চুলকে লম্বা করে ছেড়ে দিতে আবার কেউবা অভিনেত্রী ফারাহ ফসেটের মতো ঢেউ খেলানো চুলই পছন্দ করেছেন। 

২০০০ ও অতঃপর 

বিশ্বায়ন আমাদেরকে একে অপরের কাছে নিয়ে এসেছে। কাছে নিয়েছে এসেছে সংস্কৃতি এবং মানুষদেরকে, আগে যা কল্পনাও করা যায়নি।

উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে আজকের ফ্যাশন হচ্ছে বিভিন্ন উপাদানে প্রস্তুত এক নতুন ধারা। এমন কি হলিউড এবং বলিউড একে অপরের স্টাইল গ্রহণ করছে। সম্প্রতি বলিউডে শাড়ি থেকে ব্লাউজকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আর বাংলাদেশ এই পূর্ব পশ্চিমের মিশ্রিত রূপই গ্রহণ করা হয়েছে।

Information collected and compiled by one of our blog reader.

Sunday, May 13, 2012

হ্যালো তোমাকেই বলছি...


জীবনের তাগিদে সবাই দৌড়াচ্ছে।

কিন্তু তুমি চেয়ে দেখ তোমার আশপাশে কেউ নেই। এই দৌড়ানোর মাঝেই শেষ হয়ে যাবে তোমার জীবন নামের এই অধ্যায়।

নিজের স্বার্থে যে জীবন তুমি বেছে নিয়েছ, তাতে তো সব হারিয়েছ। আজ কেউ নেই তোমার পাশে। যাওবা দু’একজন কে তোমার  নিজের মনে করছ প্রয়োজন ফুরোলে তারাও থাকবে না একদিন। তুমি তো আমিত্ব নামক মহা অসুখে ভুগছ।

তুমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছ। জ্ঞান লাভের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাধারায় অনেক পরিবর্তন আসে। কিন্তু মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে বলে শুনিনি।

এখন তুমি পুরদস্তুর প্রফেশনাল হয়ে গেছ তাই এখন তোমার ভালবাসার প্রকাশও হয়ে গেছে মাপা! 


হ্যালো আমি তোমাকেই বলছি...

সবাই যখন ফোনে, চিঠিতে, আকাশের দিকে তাকিয়ে, মাটির নীচে মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বা অনুভব করার চেষ্টা করছে... তুমি তখন কফির ধোঁয়ায় আর ফেসবুকের মাঝে কৃত্রিম আনন্দ খুঁজছ। 

তোমার আবেগ ও বিবেক সবকিছুর অস্তিত্ব আজ লুপ্ত প্রায়।


তোমার মত বিবেকহীন শিকড় ভুলে যাওয়া মানুষকে মনের হীনতা ,দৈনতা মুছে ফেলার সুযোগ দিতে একটি প্রতিকী দিবস রয়েছে যার নাম “মা দিবস”। অবশ্য মনের হীনতা ,দৈনতা মুছে ফেলার কাজটি তুমি যে কোন দিনই করতে পার।

আজ সেই দিন।

ওহ তুমিতো আবার লাভ ক্ষতি ছাড়া কোন কাজ কর না।


তোমার জ্ঞাতার্থে জানাই এই দিনে তুমি বিনামূল্যে মনের হীনতা ,দৈনতা মুছে ফেলে মাকে ভালবাসার কথা জানাতে পার। এর বিনিময়ে বিনামূল্যে পাবে মায়ের হৃদয় নিংড়ানো স্বর্গীয় ভালবাসা।

মা আমার অস্তিত্বে

আজ আন্তর্জাতিক মা দিবস। ধূলির এই ধরায় আগমনের মাধ্যম ‘মা’র প্রতি বিশেষ সম্মান জানানোর একটি দিন। তবে দিবসটি কারো কারো জন্য সুখের হলেও কারো কারো জন্য কষ্ট নিয়ে আসে।  

পাঠক, মা দিবসের এই দিনে মাকে নিয়ে আবেগ নির্ভর অশ্রুসিক্ত নয়নে পড়ার মত কোন পোষ্ট লেখার অভিপ্রায় আমার নেই। বিবেকের তাড়নায় এই পোষ্টটি লিখছি।

সাধারণত প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে পালন করার রীতি অনেক দেশেই গড়ে উঠেছে। 

আসুন মা দিবসের ইতিহাসটা একটু ঝাঁলাই করে নেই:
 
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, মা দিবস পালন করার রীতি এ যুগের নয়। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেও অনেক জায়গায় এই দিবসটি পালন করতো মানুষ।

খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকেই মিশর, রোম ও গ্রিসে মা দিবস পালন করা হতো। তবে তখন দেবতাদের মায়ের (যেমন দেবী আইসিস, সিবিলি, রিয়া) আরাধনা করা হত।

১৬ শতকে ইংল্যান্ডে মা দিবস পালন করা হতো বলে জানা যায়। এটাই ছিলো দেব-দেবীদের মা ছাড়া নিজের আসল মাকে নিয়ে মানে রক্ত মাংসের মাকে নিয়ে মা দিবস।

ব্রিটিশরা আমেরিকায় তাদের কলোনি স্থাপন শুরু করার পর ইংল্যান্ড থেকে দলে দলে মানুষ আমেরিকায় বসবাস করতে শুরু করে। আমেরিকার এই সব নতুন অধিবাসীরা ইংল্যান্ডের মাদারিং ডে’কেও আমেরিকায় আমদানি করে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে। কিন্তু নানা কারণে সেটা তারা চালু রাখতে পারে না।

এর প্রায় ১০০ বছর পর ১৮৭০ সালে আমেরিকার জুলিয়া ওয়ার্ড হাও নামের এক গীতিকার, মা দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের সময় এক মায়ের সন্তান আরেক মায়ের সন্তানকে হত্যা করছিলো অবলীলায় তা দেখে  হত্যা বন্ধ করার জন্য জুলিয়া আমেরিকার সব মাকে একসাথে করতে চাচ্ছিলেন।

এদিকে ভার্জিনিয়ার একটি মহিলাদের দল জুলিয়া ওয়ার্ড হাও-এর প্রস্তাবিত মা দিবসটি পালন করতো বেশ মর্যাদার সঙ্গেই। এই দলের নেত্রী ছিলেন অ্যানা রিভেস জারভিস। তিনি গৃহযুদ্ধের সময়কালে ‘মাদার’স ফেন্ডসিপ ডে’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই দিবসের পালনের কারণে গৃহযুদ্ধ সময়কালে অনেকটাই শান্তির বার্তা এনে দিয়েছিলো। 

অ্যানা রিভেস জারভিস এর মৃত্যুর পর তার মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মা দিবস ঘোষণা আন্দোলনের হাল ধরে। অ্যানা জীবিত ও মৃত সব মায়ের প্রতি সন্মান জানানোর তথা শান্তির জন্য এই দিবসটি পালন করতে চাচ্ছিলেন।

এই লক্ষ্যে তারা ১৯০৮ সালে গ্রাফটনের ওই গির্জার সুপারিনটেনডেন্টের কাছে একটি আবেদন জানায়। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে সে বছরই ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভেনিয়ার কয়েকটি গির্জায় মা দিবস পালিত হয়। এভাবে অনেকেই প্রতিবছরই মা দিবস পালন করতে শুরু করে।

এরপর অনেক পথ পেরিয়ে ১৯১৪ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে জাতীয় মা দিবসের মর্যাদা দেয়।

আরও পরে ১৯৬২ সালে এই দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
 



ইতিহাস নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি হল। এবার একটা গল্প শুনুন...

গল্পটি আমাদের অতি চেনা মাকড়শাকে নিয়ে। মাকড়শার কথা শুনে অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন মনে হচ্ছে! এটি ঠিক গল্প নয়, একেবারে সত্যি ঘটনা। আমরা জানি মাকড়শার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। মা মাকড়শা সেই ডিম নিজের দেহে বহন করে বাচ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত। প্রকৃতির নিয়মে একসময় ডিম ফুটতে শুরু করে। নতুন প্রাণের স্পন্দন দেখা যায় ডিমের ভেতর। কিন্তু খাদ্য কোথায়? ক্ষুধার জ্বালায় ছোট ছোট মাকড়শা বাচ্চারা মায়ের দেহই খেতে শুরু করে ঠুকরে ঠুকরে। সন্তানদের মুখ চেয়ে মা নীরবে হজম করে সব কষ্ট, সব যন্ত্রনা। একসময় মায়ের পুরো দেহই চলে যায় সন্তানদের পেটে। মৃত মা পড়ে থাকে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে, সন্তানেরা নতুন পৃথিবীর দিকে হাঁটতে থাকে। এই হলো মাকড়শা মায়ের আত্মত্যাগের কাহিনী।


মায়েরা সন্তান জন্মের আগ থেকে পুরো জীবন সন্তানের জন্য যেভাবে উৎসর্গ করেন এসব কিছুর জন্য তিনি কখনো কোন প্রতিদানের আশা করেন না। তিনি নিঃশর্ত ভাবেই নিজের সন্তানকে ভালোবেসে যান।

আমরা আমাদের জীবদ্দশায় সাধারণতঃ দু'জনকে মা ডাকার সুযোগ পাই। এক মায়ের সাথে থাকে নাড়ির বন্ধন এবং আরেকজনের সাথে থাকে সামাজিক বন্ধন। অবশ্য অনেকে ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমী চিত্রও পাওয়া যায়।

আমিও দু’জনকে মা ডাকার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমার নাড়ির বন্ধনে প্রাপ্ত মা সুপ্রিতী সরকার এখনও আমার পাশে আছেন, আর সামজিক বন্ধনে প্রাপ্ত মা অশ্রুকণা দাস পরলোক গমন করেছেন।

না পাঠক আমার মায়েদেরকে নিয়ে আমি কিছু লিখব না। সবার কাছেই মা শ্রেষ্ঠ। মা দিবস তো একটা প্রতীকি দিন। আমার কাছে ৩৬৫ দিন নয় যতদিন বেঁচে থাকব প্রতিদিনই মা দিবস।
 

আমার কাছে কোন বিশেষ দিবস মানে হচ্ছে এক ধরণের রিমাইণ্ডার বা কোনকিছু স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন। 

অনেকে এই সব কৃত্রিম দিবস গুলোর বিরোধী। তাদের যুক্তি হচ্ছে পুঁজিবাদি দেশ গুলো ব্যবসার উদ্দেশ্যে এই সব দিবসের আবিস্কার করেছে। কারণ মা দিবসে বিদেশে নাকি সবচেয়ে বেশি টেলিফোন কল হয়। ভালবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি ফুল কিংবা উপহার বিক্রি হয়। ইহা কি এক ধরনের ব্যাবসার ফন্দি নয়?

তবে আমার মতে মায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি দিবসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

কারণ আমিত্ব আমাদেরকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে "মাকে ছাড়া আমরা অস্তিত্বহীন" এই কথাটি আমরা ভুলে যাই।

যুগে যুগে মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ পাল্টে যাচ্ছে। ভেতরের চেয়ে বাহির বড় হয়ে উঠছে!

Virtual reality-র এই যুগে ভেতরের চেয়ে বাহির দিন দিন বড় হওয়ার ফলে আমাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়া অসম্ভব কিছু নয়। আপনার আশে পাশে তাকিয়ে দেখুন আমিত্ব এবং স্বার্থপরতার ভুরি ভুরি উদাহরণ দেখতে পাবেন।

মা অসুস্থ হয়েছে, ওষুধটা পর্যন্ত এনে দিই না। বৃদ্ধ হয়েছে, বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিই। একটি ফোন করে খোঁজখবর নেওয়ার সময় আমাদের নেই। অথচ এই মানুষটা কী চান আমাদের কাছে? শুধু একটু ভালবাসা। তার চাহিদা আমাদের মতো এত বড় নয়। তিনি প্রতিদান চান না, তিনি প্রাপ্য চান না, অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেন না তিনি। শুধু একটু মায়া চান। তাও কি আমরা দিতে পারি না!

পরিশেষে যার লেখনিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকের এই লেখাটি লিখলাম, তার একটি লেখার কিছু অংশ উল্লেখ করে আমার লেখাটি শেষ করছি:

"সেদিন বড় কষ্ট বুকে চেপে এক মা বলছিলেন, ‘জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল আমার। বাসায় কেউ নাই। বমি করছি বারবার, ছেলে আমার পাশের ঘরে কম্পিউটারে কী যেন করে। ডাকি, আসে না। পরে ওর কাছেই শুনলাম, ও নাকি ফেসবুকে আমার অসুস্থতা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ওর মনের অবস্থা ভাগাভাগি করছিল!"...



এই লেখাটিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সুমনা শারমিন কে ধন্যবাদ।

Saturday, May 12, 2012

Forgive me...an oath for any wrongdoings

I do apologize to ruin your harmony and peace because of the activities of a devil through me.

I know some of my activities cause sleepless nights of your life. I am making this oath not to justify my position but to ask for your positive support to overcome this situation.
It is evident that I am doing some activities guided by a devil.

I am living in a world of deludes fantasy without realizing the reality. Opportunist devil is trying to fulfill his desires through me. I am in a trap.

I am fortunate that the inner desires of the devil depicted in front of me and I am realizing the mistakes I did.

Devil has entered in me few years back and I started behave differently.

Devil is trying to dissolve his loneliness and fulfill his desires through me. Since I was in illusion, I could not understand that day by day I am ruining my life as well as my kid and family peace.

I could not disclose this information because it could have been ruined my good images as well as the good name earned by you.

Now I need support from all of you.

I am passing a very painful time. Though I was thought that I was doing everything by myself, but believe me devil was behind the scene.

All of you have your own judgment.

Please step forward cautiously in this situation, so that our actions will not support that devil to come closer to me rather our action should kick out that devil from my life.

I misbehaved with all of you. I cheated on my beloved kid and life partner. 

I have nothing now. I lost my position, money, family because of that devil.

Devil makes me believe that I am a rule breaker but it was wrong.

I believe that if any of our family members face these kinds of problems (addiction, misguided by devil, go in wrong path) we should support them instead of throw them away. I will fight till the last breath of my life to bring peace and harmony in our family and society.


I know you all love me. You don’t want to lose me. I am confident that by the grace of God, our collaborative effort will win this fight.


I hope days are not far away that I will overcome this situation and kick out that devil and bring peace and harmony in my life as well as in our family and society.

It is a long journey but for the sake of our kid I must work hard to make good out of bad.

Please forgive me for all my wrongdoings.

A cheater influenced by devil (Requested for annonimity)

(This post is written by one of my blog reader)