Thursday, April 26, 2012

Bull shit!

এই গল্পটা আপনাদের সবারই জানা। কিন্তু এই গল্পটিতে ভিটামিনের পরিমান এতই বেশি যে বারবার বলিলেও এর পুষ্টিগুণ বিন্দুমাত্র কমে না।
গল্পটার একটা ইংরেজি নামও দেওয়া হইয়াছে। Bull shit! 

বাংলায় অনুবাদ করিলে ইহার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় Bull অর্থ "ষাঁড়" বা "বৃষ" এবং "shit" অর্থ "বিষ্ঠা"। কাজেই শব্দ দুইটি  পাশাপাশি বসাইলে ইহার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ষাঁড়ের বিষ্ঠা। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে আমরা আদর করিয়া ইহাকে গোবরবলিয়া ডাকিয়া থাকি। যদিও এর অন্য অর্থ রহিয়াছে। 
আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ভাষণের মত মূল কথা না বলিয়া ভূমিকা মানে গল্পের নামকরন নিয়া অনেক তেলেসমাতি দেখাইলাম। এইবার মূল গল্পে আসি।
একদা এক ষাঁড় মনের সুখে মাঠে ঘাস খাইতেছিল। ষাঁড়টির পিঠে একটা বুড়া পাখি বসিয়া পিঠের পোকামাকড় গুলা ঠোঁকরাইয়া নিজ দায়িত্বে সাবাড় করিতেছিল।
হঠাৎ পাখিটি মনের দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়া দু:খ করিয়া মাঠের শেষ প্রান্তের বড় বটগাছটা দেখাইয়া বলিতে লাগিল, আমার যখন যৌবন ছিল আমি উড়িয়া ঐ বটগাছটার সবচাইতে উঁচু ডালটায় বসিয়া মনের আনন্দে গান গাহিতে পারিতাম। আর এখন বুড়া হইয়া যাওয়াতে গাছটার সবচাইতে নীচের ডালটাতেও চড়িতে পারি না।
ষাঁড়টি এই কথা শুনিয়া হাসিয়া উঠিল, সে পাখিটিকে বলিল দু:খ করিও না, এর একটা সহজ সমাধানআমার জানা আছে। তুমি শুনিতে চাহিলে আমি বলিতে পারি। এই কথা শুনিয়া পাখিটি তাহার সমস্যার সহজ সমাধান শুনিবার জন্য আকুল হইয়া উঠিল এবং বার বার বিজ্ঞ  ষাঁড় মহাশয়কে অনুরোধ করিতে লাগিল।
ষাঁড়টি তখন পাখিটিকে বলিল, তুমি যদি প্রতিদিন আমার বিষ্ঠা নির্দিষ্ট পরিমান আহার করিতে পার তাহা হইলে ইহার ভিটামিনের গুণে ৭ দিনের মধ্যে তুমি ঐ বটগাছটার সবচেয়ে উঁচু ডালটায় আরোহন করিতে পারিবে।
এই কথা শুনিয়া পাখিটি প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ষাঁড়ের বিষ্ঠা আহার শুরু করিল এবং দিন গুনিতে লাগিল।
তিনদিন ষাঁড়ের বিষ্ঠা আহার করিবার পর পাখীটি বুঝিতে পারিল ষাঁড়ের বিষ্ঠা আহার করিবার ফলে তাহার স্বাস্থ্য আগের চাইতে একটু ভাল হইয়াছে। তাহার চেহারাতেও একটা তৈলাক্ত ভাব আসিয়াছে। শরীরের বলও বৃদ্ধি পাইয়াছে।
সে চিন্তা করিল তিনদিন তো হইয়া গেল, দেখি না আজ কতটুকু উড়িতে পারি। সে ওড়া শুরু করিল। উড়িয়া সে গাছটির মাঝামাঝি একটি ডালে বসিতে সক্ষম হইল। পাখিটি সেই ডালে বসিয়া কিছুক্ষন মনের সুখে গান করিল, তারপর আবার নামিয়া আসিল।
এইভাবে সাতদিন সে ষাঁড়ের নির্দেশনা অনুযায়ি বিষ্ঠা আহার করিল।
আজ সেই মহেন্দ্রক্ষন। সাতদিন ষাঁড়ের বিষ্ঠা আহার করিবার ফলে পাখিটি বেশ মোটাতাজা হইয়া উঠিয়াছিল।
সে ষাঁড়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়া গাছটির সবচেয়ে উঁচু ডালটায় বসিবার আশায় উড়িতে শুরু করিল। উড়িতে উড়িতে পাখিটি ষাঁড়ের বিষ্ঠার ভিটামিনের গুণে গাছটির সবচেয়ে উঁচু ডালে পৌঁছাইতে সক্ষম হইল। পাখিটি সেই ডালে বসিয়া মনের সুখে গান গাহিতে লাগিল এবং আশে পাশের পৃথিবীটা অবলোকন করিতে লাগিল।
ঐ মাঠের পাশেই ছিল এক কৃষকের বাড়ি। সেই কৃষক গায়ে তৈল মর্দন করিয়া বাড়ির উঠানে আরাম কেদারায় বসিয়া রোদ হইতে ভিটামিন আহরণ করিতেছিল।
হঠাৎ সে দূর হইতে দেখিতে পাইল তাহার বাড়ির সামনের বড় বটগাছটার মাথায় একটা নাদুস নুদুস পাখি বসিয়া আছে। পাখিটির শরীর স্বাস্থ্য দেখিয়া তাহাকে ভক্ষন করিবার অভিপ্রায়ে কৃষকের চোখ লোভে চকচক করিয়া উঠিল। কৃষক তাহার বন্দুকটি আনিয়া একগুলিতে পাখিটিকে মারিয়া ফেলিল।         
গল্পটি পড়িয়া এর শানে নুজুল কি কিছু বুঝিতে পারিলেন?
...Many times even bull shit can get you to the top but never lets you stay there...

No comments:

Post a Comment

Thank you for your time. I will get back to you soon.
Nathan