Wednesday, July 4, 2012

A new beginning…














Time..
please, give me back my childhood
I just wanna change,
A new beginning…

I was sentient about everything,
but did nothing to impede it.
How could I forget all these things?
How do I forgive myself?

Wanna get back my childhood.
Just wanna start a new life.
A new beginning…

Making dreams come true,
destroyed and stolen by me.
I wanna witness cheerful eyes,
made fearful by me.

Just wanna go back to my childhood
Refresh my life…
A new beginning…


প্রকাশকালঃ 4 জুলাই ২০১২

http://ns.bdnews24.com/blog/en/index.php/shuptobibek/1441#more-1441

অপুষ্টিকে ঘিরে পুষ্টিকর ব্যবসা…

বিভিন্ন পত্রিকা মারফত অবগত হলাম যে, সরকার দাবি করেছে, গত চার বছরে দেশের পুষ্টি-পরিস্থিতির কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।

অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে পুষ্টিবৈষম্য বেড়েছে। খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোতে ক্ষুধা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।

জাতিসংঘ শিশু তহবিলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মো. মহসীন আলী বলেন, বাংলাদেশে যত শিশু মারা যায়, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণার একটিই উপসংহার, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি একটি বড় সমস্যা

একটি শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তার দেহের পুষ্টি আসে মায়ের বুকের দুধ থেকে। শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রসুতি মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। ৫/৬ মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর শক্ত খাবার দিতে হয়। রঙিন সবজি, ভাত, রুটি, সুজি, ফল-মূল এবং মাছ বা মুরগি। আর একটু বড় হলে ডিম।

মোটা দাগে ভাগ করলে বাংলাদেশের মানুষকে প্রধানত দুটি দলে ভাগ করা যায়।

একদিকে, একদল মানুষ, নুন দিয়ে ভাত খেয়েই জীবন পার করে দিচ্ছে… এতে শিশু বা মা কারোরই পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।

অপরদিকে, আরেকটি দল ফাষ্ট ফুড, চকলেট, কোক, ভাজা-পোড়া, জুস কিংবা বিস্কুট খেয়েই দিন পার করছে… তাদেরও কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত হচ্ছে না।

দেখা যাচ্ছে দুটো দলই অপুষ্টিতে ভোগা ভবিষ্যত প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে।

ইহাই উদ্বিগ্ন হবার জন্য যথেষ্ট।

আমি উদ্বিগ্ন আরও একটি কারণে…

যখনই কোন সমস্যা জাতির সামনে তুলে ধরা হয় তখনি একধরণের ব্যবসায়িক সুযোগ নিজ উদ্যোগে তৈরী হয়। আবার ইহাও শোনা যায় গবেষণার মাধ্যমে কোন একটি সমস্যা কে জাতির সামনে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উপস্থাপন করার পিছনে ব্যবসায়ীদেরও একটি পরোক্ষ ইন্ধন থাকে। কারণ সমস্যা সমাধানের মহৌষধ যে তাদেরই হাতে।

কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বর্তমান সরকারের আমলে বিগত তিন বছরে জিডিপি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় আয় বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ৮৪৮ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।”

তথ্যের সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও… ইহা সহজে অনুমেয়… যে দেশের দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ সে দেশের মানুষের একটি বড় অংশ অপুষ্টিতে ভোগা অসম্ভব কিছু নয়।

তবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা আমি অস্বীকার করছি না।

সমস্যাটা তো বোঝা গেল…? কিন্তু এরপর কি…? সমাধানের উপায় কি…?

পরিমিত এবং সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

পৃথিবীর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর ৮০ শতাংশ রয়েছে মাত্র ২০টি দেশে, সেসব দেশে জোরালো পুষ্টি প্রকল্প গ্রহণ করলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বেশ কমানো সম্ভব।

পুষ্টি কার্যক্রমে চার ধরনের সুযোগ মানুষের জন্য সৃষ্টি করা উচিত—তত্ত্বাবধান, অর্থনৈতিক সম্পদ আহরণ ও সংগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ে সরাসরি পুষ্টি জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা, মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদকে শক্তিশালী করে তোলা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খুরশীদ জাহান একটি পত্রিকার মাধ্যমে বলেছেন, পুষ্টিজ্ঞান থাকা জরুরি। তবে মূল বিষয় হলো, পুষ্টিকর খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা আছে কি না, মানুষের পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে কি না। এ ছাড়া শিশুরা টিকা পাচ্ছে কি না, পরিবেশ যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি না, রান্না করার পদ্ধতি কী ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও পুষ্টি-পরিস্থিতি নির্ভর করে।

বর্তমানে দেশে অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

দাতা সংস্থাগুলো অপুষ্টি দূর করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা তাদের ব্যবস্থাপত্রে যে মহৌষধ ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তার বেশীরভাগই বিদেশকেন্দ্রিক।

এর মধ্যে কিছু মহৌষধ হলো…

“পুষ্টি প্যাকেট বা স্প্রিংকেল”, এই প্যাকেটের ভিতরে পাউডার জাতীয় একধরণের মহৌষধ বিদ্যমান…যা সেবনে অপুষ্টি দূর হবে বলে অনেক দাতা সংস্থা মনে করেন।

অপুষ্টি দূরীকরণের আরও একটি মহৌষধ হল “পুষ্টি বিস্কুট”… এই বিস্কুটের পুষ্টি উপাদান বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। এই বিস্কুট চর্বণে অপুষ্টি দূর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।

“পূষ্টি আটা”…এই মহৌষধটি দেখতে অনেকটা দেশিয় আটার মতো, কিন্তু দানাদার, এর পুষ্টি উপাদানও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত..।

এছাড়াও রয়েছে… “পুষ্টি বার” নামক আরও একটি মহৌষধ… যাহা দেখিতে অনেকটা চকলেট বারের মতো… এই পুষ্টি বার গুলোও বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে…

এই প্রত্যেকটি মহৌষধ বা এর পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করে থাকে… বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে…

দেশের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এম কিউ কে তালুকদার ২৩ জুন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানান, দাতা সংস্থাগুলো এখন পরামর্শ দিচ্ছে নতুন আরও একটি মহৌষধের, যার নাম “রেডি টু মেক থেরাপিউটিক ফুড”। এই পথ্যটিও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। দাতা সংস্থাগুলো ভারতেও অপুষ্টি দূরীকরনের লক্ষ্যে এই মহৌষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু ভারত তীব্রভাবে এতে বাধা দেয়।

বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বিদেশী মহৌষধের পাশাপাশি দেশিয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপুষ্টি দূর করার জন্য দেশি দানাদার শস্য, সবজি, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়িই নাকি যথেষ্ট।

এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেন, দাতা সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে খাবার কিনে দেশের অপুষ্টি সমস্যা সমাধানের যে কথা বলছে, তা যুক্তিযুক্ত নয়। তাঁর মতে, দেশীয় পদ্ধতিতে এর সমাধান খোঁজা উচিত।

কিন্তু খিচুড়ি বা দেশিয় উপাদানে তৈরী মহৌষধের ব্যাপারে অপুষ্টি দূরীকরণ কার্যক্রমে জড়িত দেশি-বিদেশি বেশীরভাগ সংস্থারই তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না… পাছে অপুষ্টিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুষ্টিকর ব্যবসা অপুষ্টির স্বীকার হয়।


প্রকাশকালঃ ২ জুলাই ২০১২

http://blog.bdnews24.com/rananathan/105900

Sunday, July 1, 2012

মাহফুজুর রহমান… ডক্টরেট ডিগ্রীধারী গবেট…

সর্ববিষয়ে নিজেদেরকে নির্দোষ ভাবিবার বা প্রমান করিবার এক সহজাত প্রবৃত্তি বিরাজ করে আমাদিগের মাঝে। নির্দোষ থাকিয়া নিজেদেরকে নির্দোষ ভাবিবার মাঝে দোষের কিছুই নাই।

একদিকে নিজ-ঘটিত বা অপর-ঘটিত ইতিবাচক ঘটনাবলীর কৃতিত্ব বা অংশীদারিত্ব গ্রহনে আমরা যেমন উদগ্রীব হইয়া থাকি… অপরদিকে নিজ-ঘটিত বা অপর-ঘটিত নেতিবাচক ঘটনাবলী হইতে নিজেকে দ্রুতগতিতে বর্জন বা আড়াল করিবার চেষ্টায়ও রত হই।

নেতিবাচক ঘটনাবলীর সহিত কারণবশতঃ যদি সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকিয়া থাকে, তাহা হইলে নিজেকে আড়াল করিবার গতি বাড়িয়া যায় দ্বিগুণ বা এর চাইতেও বেশী… সবার দৌড়াইবার ক্ষমতা তো আর সমান নহে… আড়াল করিবার দ্রুততার সহিত দৌড়াইবার ক্ষমতার একটি সমানুপাতিক সম্পর্ক বিরাজমান…

নিজেকে আড়াল করিবার কার্যটি সফলতার সহিত সম্পন্ন করিবার পরই শুরু হইয়া যায় অপরকে দোষারোপ করিবার পর্বটি। নিজ সম্মান রক্ষার্থে “পরনিন্দায়” আরও ভালো অর্থে “কুৎসা রটনায়” মত্ত হইয়া উঠি।

পরনিন্দা পদ্ধতিটি প্রয়োগের মাধ্যমে এক ধরনের আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টায় রত হই। ভাবিয়া অবাক হই অপরের নিন্দা করিয়াই যদি নিজের সম্মান রক্ষা হয় তাহা হইলে তো সম্মানের সংগায়নে পরিবর্তন আনা আবশ্যক!

পরনিন্দা পৃথিবীতে একটি পুরাতন ধারনা হিসেবে বহুকাল ধরিয়া প্রচলিত রহিয়াছে… তাই ইহার বিরুদ্ধে লিখিতে গিয়া বোধ হইতেছে… এই বুঝি আমার নামেও শুরু হইয়া গেল আর কি…!

বিভিন্ন গবেষণায় ইহাই প্রতীয়মান হইয়াছে যে… অপরকে দোষারোপ করিবার মানসিকতা বেশী গড়িয়া ওঠে সাধারণত… অপরাধী, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বলচিত্ত মানুষগুলোর মাঝে।

দুর্বলচিত্ত মানসিকতার মানুষগুলো নিজেদের দোষ স্বীকার করিবার অক্ষমতা আড়াল করিতে গিয়া পরনিন্দার আশ্রয় লইয়া থাকে।

সমাজে এই নেতিবাচক হাতিয়ারটি ব্যবহার করা খুবই সহজসাধ্য… ইহা সময় এবং ব্যয় সাশ্রয়ীও বটে।

আমরা বাঙ্গালীরা হইতেছি একটি আবেগপ্রবণ জাতি। আমাদিগকে খুশী করিবার জন্য যেমন খুব বেশী কাঠ খড় পোড়াইতে হয় না। ঠিক তেমনি কোন কিছু আমাদিগকে বিশ্বাস করাইতে হইলেও খুব বেশী সময়ের প্রয়োজন হয় না…

আমরা নগদে যাহা শুনি অনেকে তাহাই বিশ্বাস করিয়া থাকি।

অনেকে আবার এক কাঠি সরেস… ঠিক-বেঠিক যাহাই শুনি না কেন… শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজ উদ্যোগে তাহা অন্যের কান পর্যন্ত পৌঁছাইয়া দিবার গুরু দায়িত্বটিও কাঁধে তুলিয়া লই।

একান হইতে ওকান… চক্রে আবর্তিত হইতে হইতে উহা বিকৃত আকারে ছড়াইয়া পরে চারিদিকে ভাইরাসের মত। ইহা এমন একটি ভাইরাস যাহা দ্বারা আক্রান্ত হইতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।

ভাইরাসটি ছড়াইতে “সন্দেহযুক্ত বিশ্বাস” নামক দুই শব্দের একটি বায়বীয় বস্তু প্রভাবক হিসেবে কাজ করিয়া থাকে।

এই পদ্ধতির আরও একটি সুবিধা হইলো ভাইরাস ছড়ানোর মূল হোতা পর্দার আড়ালে থাকিয়া খুব সহজেই সফলতার সহিত ভাইরাসটি ছড়াইয়া দিতে পারে।

পরনিন্দা করিয়া নিজের সম্মান রক্ষা করিবার এই মানসিকতা কি আদৌ কোন সুফল বহিয়া আনিতে পারে… নিন্দাকারীর জীবনে?

অন্যদিকে নিন্দিত মানুষটির কি ক্ষতি হইতেছে তাহা একবার ভাবিয়া দেখুন তো…!

তবে ইহাও সত্য এই নেতিবাচক হাতিয়ারটি ব্যবহার করা খুবই সহজসাধ্য হইলেও এই পদ্ধতিটি নিরাপদ নয়… এই পদ্ধতি ব্যবহারে ক্ষতির পরিমান পরিমাপ করাও দুঃসাধ্য… লাভের চাইতে অলাভই বেশী হইয়া থাকে…

এই ভাইরাসটি কখন কাহাকে আক্রমন করিবে তাহা বোঝা দুষ্কর…

মাহফুজুর রহমান সাহেবের প্রেমিক হৃদয় এই পরনিন্দা পদ্ধতিটির কুফল অনুধাবনে ব্যর্থ হইয়াছেন। হয়তো বাচালতাই ইহার মূল কারণ। শুনিয়াছি উনি ডক্টরেট ডিগ্রীধারীদের একজন।

গত ৩০ মে এটিএন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান লন্ডনে গিয়া পরনিন্দার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হইয়া কিছু আউলা-ঝাউলা কথা বলিয়া ফেলিয়াছেন…

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকান্ডকে তিনি ‘পরকীয়ার বলি’ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন… কান্ডটি উদ্ভট… কিন্তু বিষয়টি সরেস।

নিজের অপরাধ আড়াল করিতে লন্ডনে ভিন্ন আরেকটি অনুষ্ঠানে মাহফুজ বলিয়াছিলেন,

‘আরে, প্রাইম মিনিস্টার কতো না কথা বলেন। প্রাইম মিনিস্টারের বক্তৃতা শুনছেন না, ওইটাও বলছে, আমরা কি ড্রয়িংরুমে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিছি? এইটা হচ্ছে, বেশি কথা বলতে বলতে বাচালের ফট করে একটা মিসটেক হয়ে যায় না, এ রকম একটা মিসটেক হয়ে গেছে।”

উনার কথাগুলো শুনিয়া বোধ হইতেছে উনি একজন ডক্টরেট ডিগ্রীধারী গবেট…!

এই গবেট কে নিয়া দেশে তোলপাড় শুরু হইয়াছে…

অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছি…

কি হয়… কি হয়… কি জানি কি হয়…!


প্রকাশকালঃ ২৮ জুন ২০১২

ছাতা

ওহ...!
বৃষ্টি আসিয়াছে... !
ছাতা নিয়াছো সাথে,
ভিজিয়া যাইবে তাই...!
বৃষ্টিতে ভিজিবার,
শখটি তোমার,
উবিয়া গিয়াছে কোথায়?

বৃষ্টি হইলেই, ভিজিতাম আমরা,
ভুলিয়া গিয়াছো আজ...
বৃষ্টি আসিলে ছাতাই সঙ্গি,
আমাকে দিয়ে হয় না কাজ...

অযোগ্য আমি,
হার মানিয়াছি,
ছাতার কাছে হায়।
তাই তো সে তোমার,
মাথায় উঠিয়া,
আমাকে চোখ রাঙ্গায়।।



প্রকাশকালঃ ৩০ জুন ২০১২

ক্ষমা

মহৎ অতি, ক্ষমা গুণটি,
ব্যবহারে কৃপণতা শুধু।
যুদ্ধে “ক্ষমা” হারিয়া গিয়াছে,
“শাস্তি”র কাছে প্রভু।

করোনি তুমি, ক্ষমা যে আমার,
পূর্ব-পুরুষেরে,
চিহ্ন তাহার, বহন করিয়া,
জন্মিয়াছি মাতৃক্রোড়ে।

প্রকৃতি আমায়, দিয়াছে শাস্তি,
নষ্ট করার পাপে,
ক্ষমা ভুলিয়া, আঘাত করিতেছে,
উন্মত্ত বিধবংসী রূপে।

শোষকের দ্বারা, শোষনের স্বীকার,
আমার মতো শোষিতেরা,
প্রতিবাদ করিলে, শাস্তির খর্গ,
নামিয়া আসে যে খাড়া।

ধর্মের জন্য, মানুষ নহে,
মানুষের জন্য ধর্ম হবে,
বুঝিয়াও তাহা, ধর্মের নামে,
যুদ্ধ চলিতেছে ভবে।

ক্ষমার বাণী, নিভৃতে কাঁদে,
ইহজগতে শান্তি নাই।
পরজগতেও, শাস্তির বিধান,
পাপ-পূণ্যের হিসেবে পাই।

ক্ষমো প্রভু মোর, পাপ-তাপ সব,
স্বর্গে দিও ঠাঁই।
শাস্তির ভারে, ক্লান্ত যে আমি,
নরক নাহি চাই।



প্রকাশকালঃ ২৯ জুন ২০১২